নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার পুরভোট ঘিরে যাতে অশান্তির ঘটনা না ঘটে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১৪৪টি ওয়ার্ডের ৪ হাজার ৭৪২টি বুথের মধ্যে ২৫ শতাংশ বুথে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। তবে বুথে ওয়েবকাস্টিং হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। পাশাপাশি শুধুমাত্র ভোটের দিন মোতায়েন করা হচ্ছে ২৩ হাজার পুলিশ কর্মী ও আধিকারিককে। ভোট গণনার দিন আলাদা বাহিনী থাকবে। তাছাড়া প্রতিটি প্রার্থী যাতে নির্বিঘ্নে প্রচার করতে পারেন, তার জন্যও বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
কলকাতা পুরভোটে কি ধরনের নিরাপত্তার বন্দোবস্থ করা হচ্ছে তা নিয়ে মঙ্গলবারই রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট পেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে পুরভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অবহিত করেছেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপি নেতাদের সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্যপাল পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেও তা মানা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ দিয়েই যে কমিশন পুরভোট করাতে চায়, সেই অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের এমন ঋজু মনোভাবে কিছুটা অসন্তুষ্ট হলেও এখনও এ বিষয়ে মুখ খুললেন সব বিষয়ে কথা বলায় পারদর্শী বাংলার নব্য ছোটলাট।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে কলকাতা পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে ভোটের দিন ২৩ হাজার পুলিস মোতায়েনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতি বুথে দুজন সশস্ত্র পুলিশ কর্মী মোতায়েনের কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি গোলমাল রুখতে ৭৮টি ক্যুইক রেসপন্স টিমও (কিউআরটি) কাজ করবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৭২টি আরটি মোবাইল ও ৩৫টি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড (আরএফএস) রাখার কথাও জানানো হয়েছে।