এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জয় নিশ্চিত, ব্যবধান বাড়ানোর লক্ষ্যে লড়ছেন সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অনুরোধেই সাত বছর আগে সাংবাদিকতার পাট চুকিয়ে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলেন। আর রাজনীতির ময়দানে পা রাখার কয়েক মাসের মধ্যেই বড় পুরস্কার পেয়েছিলেন। কলকাতা পুরসভা ভোটে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে হেসেখেলে জিতেছিলেন সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়। ফের ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ঘাসফুলের টিকিটে লড়ছেন। প্রথমবার লড়তে গিয়ে কিছুটা স্নায়ুর চাপে ভুগেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয়বার নেই সেই চাপ। সাড়ে ছয় বছরে কাজের নিরিখে ফের পুরমাতা হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন সুদর্শনা।  লক্ষ্য একটাই, গতবার যে ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন, এবার সেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়া।

দীর্ঘ দু’দশক ধরে সাংবাদিকতার সুবাদে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অনায়াসে মিশে যেতে পারতেন। তাঁদের সুখদুঃখের গল্প তুলে আনতেন দর্শক-পাঠকদের জন্য। সেই সহজাত প্রবৃত্তিকেই পুরমাতা হিসেবে কাজে লাগিয়েছিলেন। ৩৬৫ দিন ২৪ ঘন্টাই মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ভোর কিংবা গভীর রাত-পাড়ার বাসিন্দাদের যে কোনও সমস্যা, অসুবিধায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনস কিংবা বালিগঞ্জ প্লেসের মতো অভিজাত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কাঁকুলিয়া কিংবা জামির লেনের বস্তিবাসী, সমাজের উঁচুতলা থেকে নিচুতলা, সবাইকে সমান চোখেই দেখেছেন। তাই সবার কাছে হয়ে উঠেছেন পাশের বাড়ির মেয়ে। করোনার বেনজির তাণ্ডব হোক কিংবা আম্ফান-যশের বিপর্যয়, পাড়ার বাসিন্দাদের গায়ে আঁচই পড়তে দেননি। সকাল থেকে রাত-উদয় অস্ত কাজ করেছেন।

সাড়ে ছয় বছর আগে যখন ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হয়েছিলেন, তখন সামান্য বৃষ্টিতেই ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যেত। আজ জল জমার সমস্যা থেকে মুক্ত ওয়ার্ড। একাধিক নামী স্কুল থাকায় প্রতিদিনই যানজটের যন্ত্রণায় ভুগতে হতো ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। সেই যন্ত্রণা থেকেও মিলেছে মুক্তি। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত দশায় পড়েছিল চ্যাপলিন পার্ক। সুদর্শনা দৌড়ঝাঁপ করে নতুন করে সাজিয়ে তুলেছেন সেই পার্ক। নতুন নামকরণ হয়েছে সিটিজেন্স পার্ক। গোটা বালিগঞ্জ-গড়িয়াহাটের গর্ব ওই পার্ক। রাস্তা থেকে বস্তি-সাড়ে চয় বছরে আমূল বদলেছে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড।

গড়িয়াহাট ও বালিগঞ্জের অন্যতম সামাজিক সমস্যা প্রবীণ নাগরিকদের একাকিত্ব ও নিঃসঙ্গতা। সেই একাকিত্ব কাটাতে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বড়ো একা লাগে নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও গড়ে তুলেছেন ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা। প্রবীণদের ঠাকুর দেখানো থেকে শুরু করে মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখার স্বপ্নপূরণও করতে এগিয়ে এসেছেন সুদর্শনা।

তাহলে ওয়ার্ডের কী আর কোনও কাজ বাকি নেই? একগাল হেসে সুদর্শনা বললেন, ‘ওয়ার্ডে কোনও কমিউনিটি হল নেই। ফের কাউন্সিলর হয়ে ওই বাসিন্দাদের ওই দাবি পূরণ করব। সেই সঙ্গে সিটিজেন্স পার্কে একটি জলাশয় ও ক্রিকেট আকাদেমি তৈরিরও পরিকল্পনা রয়েছে।’

যাঁর হাত ধরে সাংবাদিকতা থেকে রাজনীতিতে পদার্পণ, সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায় এবার প্রতিপক্ষ। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে নির্দল হিসেবে লড়ছেন। সুব্রত’র বোনের দাঁড়ানোকে গুরুত্বই দিতে চাইছেন না প্রিয় সুদর্শনা। মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে বললেন, ‘কোনও প্রতিপক্ষ দেখছি না। কাউকে নিয়ে ভাবছিও না। আমার এখন একটাই লক্ষ্য, গতবারের চেয়ে জয়ের মার্জিন দ্বিগুন বাড়ানো।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খড়গপুর চাইছে হিরণকে! তৃণমূলের নজরে দলীয় কাউন্সিলরই

কাঁথির পুরপ্রধান রীনা, উপপুরপ্রধান অখিলপুত্র সুপ্রকাশ গিরি

ওয়াকআউট করুক নির্দলরা! ত্রিশঙ্কু পুরসভায় রণনীতি তৃণমূলের

বামেদের উত্থান আসলে তৃণমূলের কারসাজি! দাবি দিলীপের

জঙ্গলমহলেও ধাক্কা পদ্মের! প্রশ্নের মুখে দিলীপ-সৌমিত্র

আনিস কাণ্ডের কোনও প্রভাবই পড়ল না পুরনির্বাচনে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর