নিজস্ব প্রতিনিধি: যুদ্ধ শেষ। এবার পরিষেবা প্রদানের পালা। সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার কলকাতা পুরনিগমে কাউসিলর হিসাবে শপথ নিলেন তৃণমূলের নবনির্বাচিত ১৩৩জন কাউন্সিলর। তবে এদিনের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে দেখা মেলেনি ৩ বিজেপি কাউন্সিলরের। দেখা মেলেনি কংগ্রেসের জয়ী কাউন্সিলার সন্তোষ পাঠকেরও। তবে তাতে এদিনের অনুষ্ঠানের সুর তাল ছন্দ বিন্দুমাত্র নষ্ট হয়নি। রীতিমত উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্যে দিয়েই এদিন শপথ নিয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা। কাউন্সিলর পদে এদিনই অন্যদের সঙ্গে শপথ নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ দেবাশিষ কুমার, মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদাররাও। তবে এদিন শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে দেখা মেলেনি মেয়র পারিষদ থেকে বাদ পড়া তৃণমূল কাউন্সিলর ইন্দ্রাণী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শুক্রবার নির্ধারিত সময় দুপুর ২টোর পর কলকাতা পুরনিগমের অধিবেশন কক্ষে শুরু হয় শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান। ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষদের উপস্থিতিতে কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান পুরসচিব খলিল আহমেদ। এদিন বাংলা ছাড়াও কয়েকজন কাউন্সিলর হিন্দি ও উর্দুতেও শপথ নিয়েছেন। সুমন সিং, শচীন কুমার সিং হিন্দিতে শপথবাক্য পাঠ করেন। আবার জসিমউদ্দিন, ইকবাল আহমেদরা উর্দু ভাষায় শপথ নিয়েছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন নতুন কাউন্সিলরকে দেখা যায় ফিরহাদ হাকিমকে প্রণাম করতে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। তাঁর ছেলে সৌরভ বসুও এদিন কাউন্সিলর হিসাবে শপথ নিয়েছেন। শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে বিজেপির তিন কাউন্সিলর – মীনাদেবী পুরোহিত, সজল ঘোষ, বিজয় ওঝা এবং কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠক উপস্থিত না থাকায় তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিরোধীদের এই অনুপস্থিতি গোড়া থেকেই অসহযোগিতার বার্তা দিচ্ছে।
শপথ অনুষ্ঠান শেষে ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিক বৈঠক করেন। সঙ্গে ছিলেন দেবাশিস কুমারও। আগামী ২৭ তারিখ মেয়র ও মেয়র পারিষদদের শপথ। ওইদিন শপথের পর কীভাবে পুরভোটের দলীয় ইস্তেহারে তুলে ধরা ‘দশ দিগন্ত’ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তার রূপরেখা তৈরি করবেন বলে তিনি জানান। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের কাজ বুঝিয়ে দেওয়া। সেই কারনে ঠিক হয়েছে যারা প্রথমবার কাউন্সিলর হয়েছেন তাঁদের তালিম দেবেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ও মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। হাতেকলমে তাঁদের কাজ শেখানো হবে।