নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরভোট জয় হয়ে গিয়েছে। এখন দরকার শুধু সরকারি ঘোষণার। তাই রবিবার আড্ডার মেজাজে কাটালেন ঘাসফুলের হেভিওয়েট নেতারা।
ফিরহাদ হাকিমের কথাই ধরা যাক। তাঁকে কখনও মেজাজ হারিয়ে ফেলতে দেখা যায়নি। এদিনও তিনি ছিলেন খোশমেজাজে। কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। নিজের ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণপর্ব নির্বিঘ্নে হচ্ছে কি না, নিয়েছেন সেই খবরও।
নিজের পাড়াতেই আড্ডার মেজাজে কাটালেন দেবাশীস কুমার। ভোটের দিন তাঁর সঙ্গে অনেকেই দেখা করতে আসেন। দলের নেতা-কর্মীরা তো ছিলেন, ছিলেন পাড়ার প্রবীণরাও। বুথে যেতে কারও অসুবিধে হলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফুটপাথে বসে টুকটাক খাবারও খেয়েছেন। সকালে গিয়েছিলেন দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে খবরের কাগজে চোখ বুলিয়ে নেন।
বেলেঘাটায় খোশমেজাজে দেখা গেল এলাকার দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর পরেশ পালকেও। জনসংযোগের ব্যাপারে তাঁর এমনিতেই সুনাম রয়েছে। নাগরিকরা কোনও সমস্যা নিয়ে এলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াটা রেওয়াজে পরিণত। এদিন অবশ্য তেমন কোনও বড়ো সমস্যার মধ্যে তাঁকে পড়তে হয়নি।
দলের আরও এক বিধায়ক তথা দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর অতীন ঘোষকেও দেখা গেল খোশমেজাজে থাকতে। সকাল হতেই পৌঁছে যান দলীয় কার্যালয়ে। মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য গিয়েছিলেন বাড়িতে। মধ্যাহ্ন ভোজ শেষ করে আবার তাঁকে দেখা গেল পার্টি অফিসে। খোশমেজাজে দেখতে পাওয়া গেল দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম প্রার্থী দেবব্রত মজুমদারকেও। দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে আড্ডা দিয়েছেন। কথার আর আড্ডার ফাঁকে চলেছে চায়ে চুমুক।