নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্ব শেষের পর্যায়ে। রোদ-গরম-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে জন সংযোগে নেমেছিলেন রাজ্যের শাসক-বিরোধী দলগুলির প্রার্থীরা। তবে এবার তৃণমূলে তারকা দের ভিড়। পরতে পরতে চমক। তৃণমূলের হয়ে টিকিট পেয়ে রাজনীতিতে ডেবিউ করেছেন বাংলার দিদি নং ১ রচনা বন্দোপাধ্যায়। হুগলি কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি হলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির একেবারে দাপুটে নেত্রী।
তাই ইন্ডাস্ট্রিতে যতই তাঁরা বন্ধু হোক বা রচনা লকেটের সিনিয়র হোক না কেন, রাজনীতিতে কিন্তু রচনার থেকে অভিজ্ঞ লকেট। কিন্তু রাজনীতি, তাই এতে নেই কোনও বন্ধুত্ব। প্রচারে নেমেই পরতে পরতে বুঝিয়েছেন রচনা-লকেট। লকেটের ভুল সর্বসমক্ষে তুলে ধরেছেন রচনা। তেমনি ছেড়ে কথা বলেন নি লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, রাজনীতিক ময়দানে ‘বন্ধুকে’ কটাক্ষের শিকার হতে দেখে মন আনচান করছে লকেটের। গতকাল নববর্ষের দিনে তা মুখ ফুটে বলেও দিলেন লকেট। তাঁর সাফ কথা, যতই হোক রচনা তাঁর বন্ধু। তাঁকে নিয়ে মিম হতে দেখে খারাপ লাগে লকেটের। যদিও মহিলা হয়ে মহিলাদের সম্মান করতেই চান তিনি। বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে ১০ বছর কাটিয়ে দিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু হুগলি তে রচনা তাঁর প্রতিপক্ষ। তাই ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুকে ট্রোলড হতে দেখে মোটেও ভাল লাগছে না লকেটের। বহু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। তাই রাজনীতির বাইরে রচনার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চান লকেট। সম্প্রতি হুগলিতে রচনার মন্তব্য ‘ধোঁয়া’ এবং ‘দই’ নিয়ে ব্যপক ট্রোলড হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল একাধিক মিমও। এছাড়া প্রচারে নেমে তাঁকে হুগলির ঘুগনি খেতেও দেখা গিয়েছে। এই নিয়ে একাধিক মিম হলেও, তা নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন রচনা।
এই প্রসঙ্গে রচনাকে সমর্থন করে লকেট বলেন, “কোনও মহিলাকে নিয়ে মিম হলে ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগে না। ও আমার বন্ধু। তাই খারাপ লাগে। তবে এই সব হালকাভাবে নেওয়াই ভালো।” এদিকে হুগলিতে প্রতিদিন প্রচারে নেমে একেকটা কাণ্ড ঘটাচ্ছেন রচনা। তাতে নিজেও আনন্দ পাচ্ছেন আর তাঁর এলাকার বাসিন্দাদেরও। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে হুগলির আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে ধামসা মাদলের তালেও নাচতে দেখা গিয়েছিল রচনাকে।