এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘১২ মার্চ বিয়ের কথা ছিল ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর’, মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে কাঁদছেন শিখা শর্মা

নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ২০ নভেম্বর। গতবছর এই দিনটা ছিল টলিউডের জন্যে একটি বিপর্যয়ের দিন। টানা ২০ দিন হাসপাতালে লড়াইয়ের পর মারা যান টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁর মৃত্যুর ক্ষত এখনও দগদগে বাংলার মানুষের হৃদয়ে। ২ বার ক্যান্সারকে হারিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছিলেন ঐন্দ্রিলা, কিন্তু বিধাতার ইচ্ছে যে একটু অন্যরকম তা কে জানত! গত বছর ১ নভেম্বর ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ঐন্দ্রিলা। এরপর টানা ২০ দিন শরীরের একাধিক জটিলতার কারণে মৃত্যুর কাছে হার মানেন ঐন্দ্রিলা। তবে অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর সবথেকে বেশি হাইলাইটেড হয় অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। 
মৃত্যুর আগে ঐন্দ্রিলাকে প্রতি মুহূর্তে আগলে আগলে রাখতেন অভিনেতা, তাই সমাজের চোখে আজও তাঁরা রোমিও-জুলিয়েটের পারফেক্ট উদাহরণ। গতবছর এই দিনেই মায়ের কোল শূন্য করে চিরকালের জন্য পৃথিবী ছেড়ে চলে যান অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁর চলে যাওয়ার কষ্টটা অনেকে ভুলে গেলেও আজও ঐন্দ্রিলার মা, শিখা শর্মার কাছে মেয়ের স্মৃতি বর্তমান। মেয়ের মৃত্যুর কয়েক মাস পরেই জানা যায়, শিখা দেবীও ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে ঐন্দ্রিলার মা জানিয়েছেন, ‘গত বছর নভেম্বরে এই সময় আমরা যে সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, প্রতিটা মুহূর্ত আমার চোখের সামনে ভাসে। অসুস্থ হোক, তবে প্রাণটা তো ছিল। আমরা আশায় ছিলাম, ও ফিরে আসবে। ও যেমন লড়াকু ছিল, তাতে মন বলত, ও ঠিক ফিরে আসবে। ১ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। সেদিনই মেয়ের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল আমার। ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট করে নিজের দুই পোষ্য বোজো ও তুতুনকে খাইয়েছিল ঐন্দ্রিলা। তার পর আমার সঙ্গে অনেক গল্পও করেছিল ঐন্দ্রিলা। ঐদিনই শ্যুটিংয়ের জন্য গোয়ায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে নাহ, সেটা আর হল না, গেলেন হাসপাতালে, আর তারপর… মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই, আর বেঁচে ফিরল না আমার মিষ্টি।’
সব্যসাচীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে শিখা দেবীর আরও বলেন, ‘সব্য বলত বিয়ের পর আর খাব না। ২০২৩-এর ১২ মার্চ ওদের বিয়ের ঠিক হয়েছিল। সেদিন সেকেন্ড রবিবার ছিল। তবে আয়োজন বিশাল কিছু করতাম না। শুধু রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে, খুব কাছের লোকজনকে খাওয়াতাম। সব্যসাচী নভেম্বরে বিয়ে করতে চেয়েছিল। ওর বাড়ির লোকও তাই বলেছিল। তবে ঐন্দ্রিলা বলল, না মা আমার চুলটা দু’মাসে আরও একটু বড় হয়ে যাবে, সুন্দর হয়ে তারপর সাজব। তখনই বিয়ে হবে। সেই মতোই সব ঠিকঠাক হয়েছিল।’
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুবার্ষিকীতে এক সংবাদমাধ্যমকে সব্যসাচী জানান, ‘অনেকেই প্রশ্ন করেন আজকাল, সামাজিক মাধ্যমে ফিরি না কেন? আমার কি কিছুই বলার নেই? আমি প্রয়োজন বোধ করি না। এরকমটাই ছিলাম আজীবন। নিজে কোনওদিনও পিআর রেখে ফেসবুক-ইনস্টা করিনি। ও (ঐন্দ্রিলা শর্মা) জোর করত। লেখালিখি শুরু করেছিলাম। আর তো এ সবের প্রয়োজন দেখি না। শুধু জানি, সত্যিটা কে মেনে নিতে হয় এক পর্যায়ে গিয়ে। প্রত্যেকেই নিজের মতো করে মানিয়ে নেন। চেষ্টা করেন। আমিও করছি। আমি ইন্ট্রোভার্ট বরাবরই। তাই অনেকেই হয়তো আমার থাকা, আমার যাপন নিয়ে নিজেদের মতো ভেবে নেন। সেটার উপর আমার নিয়ন্ত্রণ নেই। যা ঘটেছে, যা হয়েছে… একটা পর্যায়ের পর সেটাকে সত্যি বলে মেনে নেওয়া ছাড়া আমার কী করণীয় আর?’
Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শুটিংয়ে গিয়ে ভয়ানক বিপত্তি, গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনার মুখে শাহরুখ, ক্ষতি আড়াই কোটি

রণবীরকে নিন্দা করে বিপাকে মহিলা, তাঁর অশ্লীল ছবি বানাল নায়কের ভক্তরা

ক্যালিফোর্নিয়ায় গুলিতে ঝাঁঝরা সিধু মুসেওয়ালার খুনের মূলচক্রী গোল্ডি ব্রার

রাঘবের চোখে জটিল অস্ত্রোপচার, স্বামীকে দেখতে তড়িঘড়ি লন্ডনে যাচ্ছেন পরিণীতি

জেলেই আত্মঘাতী সলমানের বাড়িতে গুলি চালানোয় অভিযুক্তের

প্রখর রোদে ভোট প্রচারে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ সোহম, এখন কেমন আছেন?

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর