নিজস্ব প্রতিনিধি: এত বছর বিয়ে হয়ে গেল, এখনো রয়েছে আক্ষেপ। বলিউডের স্বনামধন্য দম্পতি ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনী এবং বলিউডের জিতু ধর্মেন্দ্র। প্রথম বিয়ের পরে, দুই সন্তান হয়ে যাওয়ার পরেও অভিনেত্রী হেমা মালিনীর প্রেমে পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। সেই যুগে তাঁদের নিয়ে কম আলোচনাও হয়নি। হেমার বাবা-মা প্রথমেই ধর্মেন্দ্রকে মেনে নিতে চাইনি। কারণ তাঁরা চাননি যে, তাঁদের মেয়ে দ্বোজ বরকে বিয়ে করুক। কিন্তু দুজনেই প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন তখন। এদিকে ধর্মেন্দ্র তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কউরকেও ডিভোর্স দিতে রাজি তখন। শেষমেশ প্রকাশকে ডিভোর্স দিয়ে হেমাকে নিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। বলিউডের তৎকালীন সময়ের অন্যতম সুপারস্টার নায়ক-নায়িকা ছিলেন, হেমা-ধর্মেন্দ্র। তাঁরা একসঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক সিনেমা বলিউডকে উপহার দিয়েছিলেন। আর সিনেমা করতে করতেই প্রেমে পড়েন। দুজনে তবে সেই সময়ে হেমার প্রেমে পড়েননি এমন কেউ হয়তো নেই। শুধু শুধু তিনি পুরুষদের স্বপ্নের নায়িকা ছিলেন না। তাঁর অভিনয়, সৌন্দর্য্য সবেতেই পাগল ছিলেন গোটা বিশ্ব। যাই হোক, এখনো পর্যন্ত বলিউডের অন্যতম সফল জুটি হিসেবে খ্যাত হেমা-ধর্মেন্দ্র। কিন্তু ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করে খুশি নন হেমা। এতদিন পর প্রবীণ অভিনেত্রী নিজেই তা স্বীকার করলেন। কেন?
কয়েক বছর আগে, ৬৯ বছর বয়সী অভিনেত্রী নিজেই প্রকাশ করেছিলেন যে, তিনি স্বামী তথা অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট সময় কাটাতে পারেননা। তাই তিনি বিয়ের আগের দিনগুলি খুব মিস করেন। বিয়ের আগে তিনি ভেবেছিলেন যে, তাঁদের বিয়ের পরে হয়তো তিনি ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে পারবেন। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি।
কয়েক বছর আগে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যম থেকে যখন অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তিনি জীবনে কী বেশি মিস করেন, তখন হেমা বলেছিলেন, “হয়ত আমি আমার স্বামীর সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানোর আশা করেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম আমরা আরও বেশি সময় একে অপরের সঙ্গে থাকতে পারবো। কিন্তু আদতে তা হয় নি।” তিনি আরও বলেন, “আমি পরিস্থিতি মেনে নিয়েছি। আমি আমার মেয়েদের পেয়েছি। কিন্তু মেয়েদের বাবা আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে। যখন আমি আমার প্রতি তাঁর অনুভূতির কথা চিন্তা করি তখন সবকিছুই মূল্যবান বলে মনে হয়, এমনকি তাঁর শারীরিক অনুপস্থিতিও।”
যদিও হেমা আপাতত অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন, তবে ধর্মেন্দ্রকে খুব শীঘ্রই করণ জোহরের পরিচালনায়, রকি অর রানি কি প্রেম কাহানিতে দেখা যাবে। এছাড়াও এই বছর অভিনেতা, ৭০ তম জন্মদিন সেলিব্রেশন হবে ধুমধাম করে। ধর্মেন্দ্র এবং হেমা, শোলে, রাজা জানি, সীতা অর গীতা এবং ড্রিম গার্লের মতো ক্লাসিক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন। বর্তমানে ধর্মেন্দ্রর চারটি সন্তান। হেমা ও ধর্মেন্দ্রর ঘরে দুটি মেয়ে, এশা দেওল ও অহনা দেওল।