নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্র ৩ সপ্তাহ রাজত্ব করেই বক্সঅফিস থেকে বিদায় নিয়েছে ‘আদিপুরুষ’। কিন্তু তাতেও রেহাই নেই! দেশজুড়ে ‘আদিপুরুষ’-নিয়ে বিতর্কে জেরবার। ছবি নিয়ে একগুচ্ছ বিতর্কের কারণে সিনেমা হল থেকে বিদায় নিয়েছে ছবি। পুরো ছবির ক্লিপ ইতিমধ্যেই ইউটিউব ফাঁস হয়ে গিয়েছে। ১৬ জুন মুক্তি পেয়েছিল আদিপুরুষ। মুক্তির ৭২ ঘন্টার মধ্যে ছবির আপত্তিকর সংলাপ বদলালেও বিতর্ক থামাতে পারেননি নির্মাতারা। আর বিতর্ক শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যবসার মুখ দেখতে পারছিল না সিনেমা হলগুলি। তাই প্রেক্ষাগৃহ থেকেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে এই ছবিকে। প্রভাস এবং কৃতি শ্যানন-অভিনীত ‘আদিপুরুষ’ মুক্তির দিন থেকেই পোশাক, ভিএফএক্স, সংলাপজনিত কারণে বিতর্কের মুখে পড়েছিল।
এখনও এই ছবি ঘিরে উত্তেজনা তুমুলে। এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই ছবি নিয়ে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে ইতিমধ্যেই। যা এখন মামলার অধীনে। ওম রাউত পরিচালিত এই ফিল্মটি সমালোচক এবং দর্শকদের দ্বারা চরম নিন্দার শিকার হয়েছিল। এছাড়াও বলিউডের একাধিক তারকারা ছবির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এদিকে আজ সুপ্রিমকোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি আদেশের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে শুনানি করতে অস্বীকার করেছে, যেখানে “আদিপুরুষ” নির্মাতাদের ২৭ জুলাই আদালতের সামনে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ সিনেমার নির্মাতাদের পক্ষে আইনজীবীকে আদালতে হাজিরা দিতে বলেছেন।
৩০ শে জুন হাইকোর্ট সিনেমাটির নির্মাতাদের ২৭ জুলাই ছবিটির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারকে তাঁদের মতামত দেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করতে বলেছে। সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার জন্য কুলদীপ তিওয়ারি এবং নবীন ধাওয়ানের মধ্যে পৃথক আবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি চলছিল।হাইকোর্ট পরিচালক ওম রাউত, প্রযোজক ভূষণ কুমার এবং সংলাপ লেখক মনোজ মুনতাশিরকে ২৭ শে জুলাই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারকে ছবিটির বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সরকারকে সিনেমাটিকে শংসাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।