নিজস্ব প্রতিনিধি: সেকি কাণ্ড, করিনা চলে গেল দিল্লি পুলিশের রেড সিগন্যালে। হ্যাঁ, এবার থেকে দিল্লী বাসিন্দা রেড লাইটে করিনার মুখ দেখেই গাড়ি থামাবেন। ভাবা যায়, এতদিন তো আমরা জানতাম তারকা হওয়া যথেষ্ট কষ্টকর। কারণ রক্ষাকর্তা ছাড়া পাবলিক এরিয়াতে বেরোনো মুশকিল তাঁদের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি তাঁদের যে কোনও ধরনের ছবি প্রতিনিয়ত ভাইরাল হয়েই চলেছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় এখন অভিনেত্রীদের ছবি যেকোনো মাধ্যমে ব্যবহার করাও সহজসাধ্য হয়ে গিয়েছে। কোনও ন্যাকেড মহিলার মুখেও নায়িকার মুখ বসে যাচ্ছে। সুতরাং এগুলো এখন কমন বিষয় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এবার যেন সবকিছুকেই টপকে গেল।
এক্কেবারে রেড সিগন্যালে করিনার মুখ। তবে যে সে নয়, একেবারে ‘কভি খুশি কভি গাম’ ছবিতে করিনার ‘Poo’ চরিত্র এখন রেডলাইট সিগন্যালে রাজত্ব করছে। তবে কেস টা ঠিক কী? দিল্লি পুলিশ ‘কভি খুশি কাভি গম’ এর করিনার আইকনিক চরিত্র ‘Poo’ এরই বা সাহায্য নিলেন কেন? সম্প্রতি, দিল্লি পুলিশের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে এই পোস্টটি করা হয়েছে। যদিও রেড লাইট সিগন্যালে শুধু করিনার মুখ নয়, সঙ্গে সঙ্গে ‘কভি খুশি কভি গাম’এ করিনার বিখ্যাত সংলাপ, “কউন হ্যায় ইয়ে, জিসনে দোবারা মুড়কে মুঝে নেহি দেখা”, এটিও ভেসে উঠছে। আসলে দিল্লির রাস্তায় যারা দ্রুত গাড়ি চালায় এবং রেড সিগন্যাল দেখেও এড়িয়ে যায়, তাঁদের জন্যে এই ব্যবস্থা। যাতে তাঁদের দ্বারা রাস্তায় অন্যদের কারুর ক্ষতি না হয়, যাতে তাঁদের কান পর্যন্ত এই সংলাপটি পৌঁছয়, এবং তাঁরা রেড লাইট দেখে দাঁড়িয়ে যায়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি দ্রুতগামী গাড়ি ট্র্যাফিক লাইটের পাশ দিয়ে ছুটে চলেছে, লাল লাইট রীতিমত এড়িয়ে।
আর যেই লাল বাতি পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করিনার চরিত্র, পু, লাল আলোর উপরে উপস্থিত হয়। তখনই সবার গাড়ি থেমে যায়। আর তার পরেই ‘পু’ এর কন্ঠে সেই জনপ্রিয় লাইনটি বলতে শোনা যায়। আর এই সংলাপ টি দেওয়ার কারণ, ট্রাফিক সিগন্যালের সঙ্গে করিনার এই সংলাপের মিল। ২০০১ সালে করণ জোহর পরিচালিত ‘কভি খুশি কাভি গম’ মুক্তি পায়। এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছিলেন, অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান, কাজল এবং হৃতিক রোশন। রানি মুখার্জিও একটি বিশেষ ভূমিকায় ছিলেন। এই ছবিটি সেই সময় গোটা বিশ্বে রাজত্ব করেছিল।