নিজস্ব প্রতিনিধি: সারাবছর চূড়ান্ত ব্যস্ততা। কাজের চাপে দম ফেলার সময় নেই। শো, সিনেমার কাজ, বিচারক, নানা অনুষ্ঠান, কিন্তু পুজোর কটাদিন আনন্দে ও একটু হাল্কা মুডে কাটাতে চান প্রত্যেক তারকাই। কেউ কেউ আবার পুজোতেই বাইরে চলে যান বেড়াতে মুড ফ্রেশের জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ তারকার পছন্দ কলকাতাই। কারণ বাঙালি তো, তাই অনেক তারকার পছন্দ কলকাতাই। তাই পুজোর এই চারটে দিন কাজের মাঝেও হুল্লোড় ও আনন্দের সঙ্গেই কাটাতে ভালোবাসেন সকল তারকাই। সেই তালিকায় পড়েন ক্যাকটাসের সিধু অর্থাৎ ডাঃ সিদ্ধার্থ রায়। প্রতিবছরের মত এবছরে করোনার জন্য সেরকম চাপ না থাকলেও টুকটাক মজার কাজ রয়েছে পুজোতে। বাকিটা সময় আড্ডা দিয়ে কাটাতেই চাইছেন সিধু।
এই মুহূর্তের সঙ্গে পুজোর দিনগুলি কেমন ভাবে কাটাবেন সিধু তা জানিয়েছেন ফোনের ওপার থেকেই। তিনি জানিয়েছেন, ‘কাজ রয়েছে কিন্তু কাজগুলো কিন্তু মজার কাজ, তাই চিন্তা নেই। যেমন পঞ্চমীতে সারাদিন ঘুরেই এক সংস্থার হয়ে ঢাকের কম্পিটিশনে জার্জ করেছি। গোটা কলকাতা ঘুরেছি। আজ অর্থাৎ ষষ্ঠীরদিন ঢাকের কম্পিটিশনে যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে তাদের পুরস্কার হাতে তুলে দেব। সপ্তমী পুরো ফাঁকা, বন্ধুদের সঙ্গে ওইদিন আড্ডা দেব। ঠাকুর দেখা প্রায় হয়ে গিয়েছে পঞ্চমীতে তাই ভিড়ে আর যাব না। অষ্টমীতে চিনার পার্কে একটি পাবে অনুষ্ঠান রয়েছে। ডিসটোর্টেড ক্রমোজোম ফিচারিং সিধু, এটা নাম অনুষ্ঠানের। টানা তিনঘণ্টার শো। নবমীতে মার্লিন গ্রুপের সঙ্গে আবাসনের পুজো দেখতে যাব, বিচারকে করা হয়েছে আমাকে। সারাদিন কেটে যাবে ওইদিন। দশমী বাড়িতেই রিল্যাক্সেশন। যেহেতু কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি নেই তাই বড় কাজ নেই। যা আছে ওই পাবেই ছোট করে করব।’
পুজোতে ভুরিভোজ নিয়ে সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, ‘সপ্তমী ও অষ্টমীতে পাড়ায় পুজোর ভোগ খাব। এটা প্রতিবছরই করি। ডায়েটের জায়গা একেবারেই নেই। আর বাকিদিন তো বাইরে খাওয়া দাওয়া চলছেই। আজ একটা ফুডের ওপর শ্যুটিং আছে সেটাতে খাওয়া দাওয়া হবে।’ প্রতি বছরের মতই এবছরেও একাধিক দুর্গা পুজোর মণ্ডপে থিম সঙ করেছেন সেগুলি কেমন হয়েছে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট পুজো মণ্ডপে সপ্তমীর দিন যাবেন তিনি।