নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কে কে-কে নিয়ে মন্তব্যের পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। দীর্ঘ বিতর্কের পর বাদ পড়েছে নামি কেক বিক্রয়কারী সংস্থার জন্য তাঁর গাওয়া জিঙ্গল। তারপর হঠাৎ হাওয়ায় খবর ভেসে বেড়ায় যে তাঁর গাওয়া গান নাকি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছে যাদবপুরের একটি রেস্তোরাঁ। যদিও সেই খবর ভুয়ো বলেই পরে জানা যায়। এবারেও খবরের শিরোনামে উঠে এলেন রূপঙ্কর। বেশ কিছু মাস আগে নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লাইভে এসে জানিয়েছিলেন যে একটি ছবির জন্য তাঁর গাওয়া গান নাকি ঠিক মুখ্য চরিত্রের গলায় মানাচ্ছে না। তাঁর কথায় ”বুড়ো লাগছে। আজ আমি আবার নতুন করে বুড়ো হলাম।” এবার সেই নিয়েই বিবৃতি প্রকাশ করল ছবির টিম।
আকাশ মালাকারের পরিচালনায় ‘প্রথম বারের প্রথম দেখা’ ছবির জন্য একটি গান গেয়েছিলেন রূপঙ্কর। ছবিটি মূলত টিনএজ কিছু ছেলে মেয়ের উঠতি বয়সের প্রেম, মজা, খুনসুটি নিয়েই তৈরি। যার প্রধান চরিত্রে রয়েছে আর্য দাসগুপ্ত, ঋত্ত্বিকা সেন। ছবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন খরাজ মুখোপাধ্যায়, তুলিকা বসু, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় প্রমুখেরা। আর আরজর জন্য ছবির একটি গান রেকর্ড করেছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। কিন্তু এডিট টেবিলে দেখা যায় তিনএজ লাভস্টোরিতে যে গানটি এক ভেবে বানানো হয়েছিল তা অন্যরকম শোনাচ্ছে কারণ ১৭ বছরের একটি ছেলের সঙ্গে রূপঙ্করের গাওয়া গানটি মানানসই হচ্ছিল না। বয়সের পার্থক্য ধরা পড়ছিল। ফলে ছবি থেকে বাদ পড়ে রূপঙ্করের গলায় গাওয়া ওই গানটি।
একসঙ্গে বসে ছবির টিম সিদ্ধান্ত নেয় যে ওই গানটি মানাচ্ছে না তাঁর বদলে তাঁরা গায়ক অরিজিৎ পালকে দিয়ে পুনরায় রেকর্ড করায় গানটি। এই বিষয় রূপঙ্করের কানে পৌঁছানোর পর তিনি যে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। এই ঘটনাই ফের তাঁর কাজ হারানোর আলোচনায় ঘৃতাহুতি দিয়েছে। যদিও প্রযোজক রানা সরকার জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে রূপঙ্কর ব্যান নয়। বরং তাঁর একের পর এক ছবিতে গান গাইবেন শিল্পী। এর আগেও তাঁর প্রযোজনায় ‘জাতিস্মর’ ছবিতে গান গেয়েই জাতীয় পুরস্কার পান শিল্পী।