নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউড ছবি ঘিরে বিতর্ক এই প্রথম নয়, ছবিতে ধর্মকে কেন্দ্র করে কোনও বিরূপতা নজরে পড়লেই হল, ব্যস! দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। ভারত চাঁদ ছুঁলেও কিছু কিছু জাতি আজও ধর্মকে আগলে বসে রয়েছে। এর আগে যেমন, প্রভাস-কৃতির ‘আদিপুরুষ’ কে নিয়ে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশজুড়ে। যার কারণ একমাত্র হিন্দু ধর্মগ্রন্থ রামায়ণের বিকৃতি, অন্যদিকে শাহরুখ দীপিকার পাঠানকে কেন্দ্র করেও বিক্ষোভ রীতিমতো চরমে পৌঁছেছিল। গেরুয়া বিকিনি তে দীপিকার ‘বেশরম রং’-গানটি নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক কোন্দল শুরু হয়ে গিয়েছিল। যদিও তাতে ছবির ব্যবসায় কোনও পরিবর্তন হয়নি। বরং শাহরুখের পাঠান বক্সঅফিসের সমস্ত রেকর্ড তোলপাড় করে ১০০০ কোটি বাজার ছুঁয়েছিল। এছাড়াও দ্য কেরালা স্টোরি, OMG 2, গদর 2-সহ একাধিক ছবি ঘিরেও বিতর্কে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দেশ।
এবার এই তালিকায় হয়তো জুড়তে চলেছে দিব্যা খোসলা কুমারের আগামী ছবি ‘Yaariann 2’। এর আগেও ছবির প্রথম সংস্করণ অভিনেত্রী-পরিচালক দিব্যা খোসলা কুমারের হাতেই তৈরি হয়েছিল। ২০১৪ সালের এই ছবিতে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন, হিমাংশ কোহলি। তবে এবার ছবিতে একেবারে নতুন মুখ, এছাড়াও ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে টলি অভিনেতা যশ দাশগুপ্তকে।
আগামী ২০ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে ‘Yaarian 2’, তার আগেই ছবি ঘিরে বিক্ষোভ তুঙ্গে, সঙ্গে বয়কটের ডাক। কিন্তু কেন? সম্পর্ক, প্রেম এবং পরিবার নিয়ে তৈরি এই ছবিতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দিব্যা খোসলা কুমার, মিজান জাফরি এবং পার্ল ভি পুরি৷ সম্প্রতি ছবির একটি গান ‘সাউরে ঘর’ রিলিজ করেছে। ভাইবোনের বন্ধন নিয়ে তৈরি গানটি খুবই মর্মস্পর্শী, এতে সুন্দরভাবে ভাই বোনের সম্পর্ককে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু গানে মিজান জাফরিকে শিখদের কৃপান নিয়ে নাচতে দেখা গিয়েছে। আর তা দেখেই শিখরা বিরক্ত। মিজান একটি সাদা কুর্তা এবং পায়জামা পড়েছিলেন আর তাঁর কোমরে ঝোলানো ছিল কৃপান। কেন গানটিতে এটি দেখানো হয়েছে, তা নিয়েই শিখ ধর্মের একাংশ আপত্তি তুলেছেন। কারণ তাঁরা মনে করেন কৃপান খালসার একটি পবিত্র প্রতীক, তাই এটি যেমন-তেমনভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। অনেকেই দাবি তুলেছেন, শিখ সংস্থাগুলি আইনি নোটিশ পাঠাক, নয়তো নির্মাতারা অবিলম্বে এই দৃশ্য সংশোধন করুক।
কৃপান শিখদের জন্য একটি পবিত্র প্রতীক
কৃপান সাধারণত পোশাকের নিচে রাখা হয়। এটি একজন শিখকে তাঁর উদারতা, সমবেদনা এবং মানবতার সেবার মূল্যবোধ স্মরণ করিয়ে দেয়। এটি একটি প্রতীক যা নিশ্চিত করে, শিখদের আদর্শ সর্বদা দুর্বলদের রক্ষা করা।