নিজস্ব প্রতিনিধি: অপেক্ষা ছিল শনিবার। যাদের ভালোবাসা সাক্ষী হয়ে থাকবে প্রজন্ম প্রজন্ম। ভালবাসার সূত্র ধরেই চর্চায় উঠে এসেছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা এবং সব্যসাচী চৌধুরী। তাঁদের ভালোবাসা তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হয়েই থাকবে সারাজীবন। অনেক চেষ্টা করে ছিলেন, কিন্তু বাঁচাতে পারলেন না প্রেমিকাকে। গত ২০ নভেম্বর টানা ২০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা, তাঁর মৃত্যুতে আজও শোকস্তব্ধ গোটা বাংলা। দুবার ক্যান্সারকে হারিয়েও জীবনের মূল স্রোতে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা। কিন্তু শরীরের একাধিক জটিলতা মাত্র ২৪ বছরেই তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। যাই হোক, মাত্র ৫ বছরের সম্পর্ক ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর।
তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা ভালোবাসার সংজ্ঞাকে নতুনবাবে বর্ননা করেছিল। টানে এখন সবটাই শেষ। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে রেখেছিলেন সব্যসাচী। ক্যামেরার সামনেও তিন আসেননি। তবে কারুর মৃত্যুতে জীবন থেমে থাকেনা সেটাই স্বাভাবিক। দিন কয়েক ধরেই জল্পনা চলছিল যে খুব শীঘ্রই নতুন ধারাবাহিকের হাত ধরে পর্দায় ফিরছেন সব্যসাচী চৌধুরী। বামাখ্যাপার পর এবার তিনি ‘সাধক রামপ্রসাদ’ হয়ে মানুষের মনে রাজত্ব করবেন অভিনেতা। হ্যাঁ, সব জল্পনা-কল্পনা শেষ! নতুন রূপে ফিরলেন সব্যসাচী। ‘সাধক রামপ্রসাদ’ হয়ে দর্শকের সামনে ধরা দিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, “আগের চেয়ে আমি একটু ঠিক আছি।”
বোঝাই গিয়েছিল, কাছের মানুষ ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে নিজেকে লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন তিনি। তবে বসে থাকার পালা শেষ, অনেক মাস পরেই আবার কাজ শুরু করলেন তিনি। ঐন্দ্রিলার চলে যাওয়া বেশ মানসিক ধাক্কা দিয়েছিল তাঁকে, তা সামলে ওঠা সত্যই কঠিন। শেষ ঐন্দ্রিলার সঙ্গে ‘ভাগাড়’ ওয়েব সিরিজে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যা ক্লিক ওয়েব প্লাটফর্মে রিলিজ হয়েছিল। কাছের মানুষ হারানোর পর তিনি কি একই আছেন? তা হয়তো বলা কঠিন। যদিও ইতিমধ্যেই নিজেকে কতটা মানসিক দিক থেকে আড়ালে করে রেখেছিলেন তা বলা কঠিন! তবে শ্যুটিংয়ের খাতিরে দাড়িগোঁফ পুরো কেটে ফেলেছেন সব্যসাচী। কয়েক মাস পর তাঁকে পর্দায় দেখে অনুরাগীদের উৎসাহের শেষ নেই। প্রসঙ্গত, এই ধারাবাহিকে সব্যসাচীর বিপরীতে দেখা যাবে সুস্মিলি আচার্যকে। আর শ্যামা রূপে দেখা যাবে অভিনেত্রী পায়েল দে-কে।