নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দিনকয়েক আগেই সংসদে কাশ্মীর ফাইলস সিনেমা নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যেখানে তাঁকে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমাটিকে ট্যাক্স ফ্রি করা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায়। তিনি বলেন, সরকার যদি সত্যিই চেয়ে থাকে যে এই সিনেমা সকলে দেখুক তাহলে সিনেমাটিকে ট্যাক্স ফ্রি করার সরকার নেই। সিনেমাটিকে ইউটিউবে দিলেই সেটা সকলে দেখতে পাবে। তাঁর এই দাবিতে হেসে ফেলেন সংসদের অনেকেই। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই ‘কাশ্মীর ফাইলস’ ভক্তদের রোষানলে পড়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার এই ভিডিও নিয়ে কেজরিওয়ালকে ‘কমেডিয়ান’ তথা কৌতুকশিল্পী বলে কটাক্ষ করলেন ‘কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমার অভিনেতা অমুপম খের। তিনি কেজরিওয়ালের এই মন্তব্যকে অসংবেদনশীল বলেও মন্তব্য করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে নিজেও হাসছেন এবং অন্যদেরও হাসাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ একজন বিনোদন শিল্পী এবং কাশ্মীরি হিন্দু হিসাবে আমি গভীরভাবে আহত হয়েছি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল অশোভন, অসংবেদনশীল ছিলেন এবং তিনি লক্ষ লক্ষ কাশ্মীরি হিন্দুদের কথা ভাবেননি যাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।’ তিনি এর সঙ্গেই যোগ করেন, ‘ এর একমাত্র উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রত্যেক ভারতীয়র উচিত প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখা এবং আরও বেশি অর্থ সংগ্রহ করা যাতে কাশ্মীর থেকে আরও বেশি লোকের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায়।’
এর পাশাপাশি তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রসঙ্গে বলেন, ‘তাঁর যদি প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপির সাথে রাজনৈতিক সমস্যা থাকে তবে তার উচিত ছিল সেই বিষয়ে কথা বলা। কিন্তু কাশ্মীর ফাইলের প্রসঙ্গ টেনে আনা, এই সিনেমাকে একটা প্রোপাগান্ডা ফিল্ম বলা, এই ধরণের মন্তব্য খুবই লজ্জাজনক। তিনি নিজেও ফিল্মটি দেখেননি, টাই তিনি গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার সংসদে ‘দ্য কাশ্মীর পণ্ডিত’ সিনেমাটিকে নিয়ে একাধিক মন্তব্য করতে দেখা যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। একদিকে তিনি যেমন এই সিনেমাটিকে ট্যাক্স ফ্রি করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, অন্যদিকে এই সিনেমাকে ঢাল করে বিজেপি প্রচার চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন। এর পাশাপাশি এদিন কেজরিওয়াল বিজপির উদ্দেশ্যে সরাসরি প্রশ্নের আঙুল তুলে বলেন, ‘কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে এই ঘটনাটি ঘটেছে ৩২ বছর আগে। বিজেপি প্রায় ৯ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু তারপরেও একজন কাশ্মীরি পণ্ডিতও কেন তাঁদের ঘরে ফিরল না?’