নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁকে নিয়ে এপার-ওপার দুই বাংলাতেই এক্কেবারে চর্চার শেষ নেই। তাঁর মজার মজার কন্টেন্ট নিয়ে যেমন হাসির শেষ নেই, তেমনি তাঁকে নিয়ে চলে তুলোধনা। তবে একটা কথা না বললেই নয়, তাঁর আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই যেন মজার মজার কাণ্ডে ইন্টারনেট দখল করে রেখেছেন। বেসুরো কন্ঠ, আজব আজব সংলাপ, অদ্ভূত বিষয়ে ভিডিও বানানো, কখনও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ব্যঙ্গ ছন্দে গাইছেন তিনি, আবার কখনও উঠতি ইউটিউবারদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তিনি। হ্যাঁ, বাংলাদেশের ইউটিউব সেনসেশন হিরো আলমকে নিয়ে সবসময়েই চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলোধনা। তাঁর যেকোনও কন্টেন্ট এলেই হল, সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার মিম তৈরি হয়ে যায়। তাঁর বেসুরো কণ্ঠ শুনলে হাসি ঠাট্টা এক্কেবারে চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তবে সম্প্রতি হিরো আলম আরও একটি কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন। বলিউড ডিভা দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে অভিনয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করে বসলেন তিনি।
বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর কমিক টাইমিং, উদ্ভট অ্যান্টিক্স বা বিতর্কিত মন্তব্য সবটাই সংবাদের শিরোনাম হয়। সম্প্রতি বান্ধবী রিয়া মনির সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন হিরো আলম মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জে। স্বাভাবিকভাবেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের ভালোবাসা দেখে হিরো আনন্দ আর ধরে রাখতে পারেন নি। সেখানেই তিনি তাঁর স্বপ্নের কথা জাহির করলেন। দুই বাংলার ভালোবাসা পেয়ে চরম উচ্ছ্বসিত হয়ে হিরো আলম বলেন, “ভারতীয় সিনেমায় অভিনয় করতে চাই, কিন্তু একটা শর্তে।” কী সেই শর্ত?
তাঁর কথায়, দীপিকা পাড়ুকোনকে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করতে হবে, তবেই তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন। কারণ এটি তাঁর দীর্ঘকালের লালিত স্বপ্ন। আলমের একথা শুনে একেবারে তাজ্জব হয়ে যান সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই। আলম বরাবরই বিতর্কের বিষয়। কিছু মাস আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মিউজিক ভিডিও পোস্ট করেছিলেন হিরো আলম। সেখানে দেখা গিয়েছিল রবীন্দ্রসংগীত ভুলভাবে উপস্থাপন করছেন তিনি, খানিকটা ব্যাঙ্গাত্মক সুরে। যা নিয়ে তাঁকে আইনি নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তবে মজার বিষয় হল, অনেকেই জানেন না যে, তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা শীর্ষ ১০ জন শিল্পীর মধ্যে অন্যতম ছিলেন।