নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সোমবার শহরের একটি নামি মঞ্চে মুম্বইয়ের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকে-এর পারফর্ম্যান্স দেখতে ভিড় জমেছিল। বেশ অনেকগুলি দিন আগেই সারা শহর ঢেকেছিল সেই অনুষ্ঠানের হোর্ডিংয়ে। নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে এই অনুষ্ঠান নিয়ে মুখিয়ে ছিল। আর তার প্রতিফল ঘটে সোমবার সকালেই। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সকলেই প্রায় নিজের উন্মাদনার কথা শেয়ার করেছেন। কারণ তাঁরা কেকে-এর কনসার্ট শুনতে যাবেন। আর তাতেই বেজায় চটলেন বাংলার সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচি।
বাঙালি গায়ক গায়িকাদের ভুলে গিয়ে কেন হিন্দি গানের শিল্পীকে নিয়ে এত উন্মাদনা? তার জবাব চেয়েছেন তিনি বাঙালির কাছে। ”কেকে-এর থেকে আমাদের বাংলার গায়ক-গায়িকারা অনেক ভালো গেয়ে থাকেন। কই তাঁদের নিয়ে তো এমন উন্মাদনা দেখান না আপনারা। ইমন চক্রবর্তী, অনুপম রায়, রূপম ইসলাম এরা প্রত্যেকেই দারুণ গায়ক-গায়িকা এবং কেকের থেকে অনেক বেশি ভালো গান। এদেরকে নিয়েও তো কখনও মাতামাতি করতে পারেন। এবার একটু বাঙালি হন। পঞ্জাব, ওড়িশাকে দেখে কিছু শিখুন।”
আর তাতেই চটেছেন নেট নাগরিকেরা। রূপঙ্করের দেওয়া এই পাঠ যে তাঁদের একেবারে না পসন্দ তা কমেন্ট বক্সেই বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। সঙ্গে ধেয়ে এসেছে ইউটিউবার স্যান্ডি সাহার কমেন্টও।
কেউ আবার বলেছেন, ”দাদা বাঙালি ভালো বাংলা গান শুনতে চায়। শেষ দশ বছরে সিনেমার গান ছাড়া আপনি কটা অ্যালবাম বের করেছেন?? কটা নতুন গান মানুষের মনে দাগ কেটেছে? নতুন প্রজন্ম বাংলা গান শোনার জন্য যাদবপুরের OAT ভরাতে পারে। চিৎকার করে বাংলা গান গাইতে পারে। বাংলাদেশী শিল্পীরা এক্ষেত্রে অনেক বেশি পেশাদার।”
কারও মতে, ”মিস্টার বাগচী, আপনাকে বলছি। শুনুন। সবার প্রথমে একটা দশমিক বসান, তারপরে একশোটা শুন্য বসিয়ে একটা এক লিখুন। তারপরে একটা পার্সেন্টেজ চিহ্ন বসান। যে সংখ্যাটা দাঁড়ালো, শতকরা সেই ভাগটুকু যদি আপনার যোগ্যতা থাকত একজন শিল্পী হওয়ার, তাহলে আপনি এই কথাগুলো বলতে পারতেন না। আপনি পুরোপুরিভাবে আত্মকেন্দ্রিক এবং হিংসুটে একজন মানুষ। কিশোর কুমার থেকে শুরু করে অরিজিৎ সিং বা শ্রেয়া ঘোষালকে নিয়ে যখন উত্তরাখন্ড, আসাম বা তামিলনাড়ুর মানুষ প্রচন্ড মাতামাতি করে, তখন একজন বাঙালি হিসেবে আপনার গর্ববোধ হয় না? আমার তো ভীষণই গর্ব হয়, ভালো লাগে। ”