এই মুহূর্তে




‘সময় পেলে আমিও সিরিয়াল দেখি, আমার ভাল লাগে’, টেলি আকাডেমি মঞ্চে গোপন কথা ফাঁস মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি: টেলিভিশন শিল্পীদের সম্মান জানাতে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) কলকাতার ধনধান্য স্টেডিয়ামে বসেছে টেলি আকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫। যেটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের একটি উদ্যোগ। যেখানে অভিনেতা, প্রযোজক এবং টেলি দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত সকলকে সম্মানিত করা হয়। প্রতি বছর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান। যেখানে বাংলা টেলি শিল্পীদের সম্মান জানানো হয়। যাঁরা বছরভর অক্লান্ত পরিশ্রম করে দর্শকদের বিনোদন দিচ্ছেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বছরের সেরা শিল্পীদের পুরস্কৃত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন তিনি। যেটি নিঃসন্দেহে বাংলা টেলিভিশনের কৃতীদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যে রাজ্যের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন মন্ত্রকের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই অনুষ্ঠানে বছরের সেরা টেলি অভিনেতাকে সম্মানিত করা হয়। যেমন, বাবা মা, নায়ক নায়িকা, ছেলে মেয়ে, খলনায়ক খলনায়িকা, সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনীতদের সম্মানিত করা হয়। এদিন নাচে গানে ভরে উঠেছিল ধনধান্য স্টেডিয়াম।

এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলার বেকারত্ব ঘোচানোর কথা বললেন তিনি। পাশাপাশি বাংলায় নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার আশ্বাসও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী যারা কর্মসংস্থান তৈরি করেন এবং কর্ম প্লাবন আনেন তাদেরকেও সম্মান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বক্তব্যের শুরুতেই মাধবী মুখোপাধ্যায় এবং সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে প্রণাম জানান তিনি। পাশাপাশি এই বয়সেও তাদের অভিনয়ের অদম্য ইচ্ছে শক্তিকে কুর্নিশ জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘মাধবী দি ও সাবিত্রী দিকে প্রণাম জানাই। এই বয়সেও তাঁদের অভিনয় করার অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কুর্নিশ জানাই। তাঁরা তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণা। এই বিনোদন জগত প্রতিবছরেই নতুন নতুন প্রতিভার জন্ম দেয়। কর্ম প্লাবন সৃষ্টি করে। এটা একটা বড় কাজ। শিল্পীরা দিনরাত পরিশ্রম করে দর্শকদের বিনোদন দিচ্ছেন, এই শিল্পীদের জীবনে কোনও ছুটি নেই, উৎসব বলে কিছু নেই। কাজের মাধ্যমেই তাঁরা উৎসব পালন করেন। পুজোর সময়ও বিভিন্ন চ্যানেলে গিয়ে তাদের প্রোগ্রাম করতে হয়।’

এরপর নিজে সিরিয়াল দেখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, টেলিভিশন জগতের সব থেকে বড় দিক হল মানবিকতা, সুশিক্ষা এবং সামাজিক চেতনা জাগানো। নতুন প্রজন্ম আমাদের ইতিহাস জানুক। আমাদের মাটি, সোনার চেয়ে খাঁটি। এই মাটি নবজাগরণের জন্ম দিয়েছে। নতুনরা আসছেন, কিন্তু তাদের এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিতে হবে। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, যারা বাড়িতে বসে টিভি দেখছেন, তাদের কাছে সংসার সামলে এটাই বিনোদনের জায়গা। আমিও সময় পেলে সিরিয়াল দেখি। পরের সিন কি হবে সেটাও বলে দিতে পারি। আমাকে আনন্দ দেয়।’ এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন অনেক নতুন নতুন চিন্তাভাবনার সিরিয়াল হচ্ছে, যা আগে মানুষ মেনে নিতে পারত না কিন্তু এখন মেনে নিচ্ছে। সুতরাং মানুষের চিন্তাভাবনা বদলাচ্ছে। এটাকেই ধরে রাখতে হবে। মনে রাখবেন এটাও আপনাদের একটি পরিবার।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মেক্সিকোর ফতিমা বস্কের মাথায় উঠল মিস ইউনিভার্সের মুকুট

বুদ্ধ অবতার থেকে চোখ ধাঁধানো লাল গাউন, ‘মিস ইউনিভার্স’ মঞ্চে নজর কাড়ছেন ভারতীয় সুন্দরী

পরিণীতাকে ছ্যাকা! টিআরপিতে অসাধ্য সাধন করল ‘রাঙামতী তীরন্দাজ’, শীর্ষস্থানে কে?

ঝুলনের বায়োপিক মনে ধরে নি নেটফ্লিক্সের, কবে মুক্তি পাবে অনুষ্কার ‘চাকদা এক্সপ্রেস’?

জল্পনায় সিলমোহর! দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন সোনম, বেবি বাম্প প্রকাশ্যে এনে দিলেন সুখবর

‘পশুর সঙ্গমের দৃশ্য’ বাদ, ৩টি সংলাপে কাঁচি, শর্তসাপেক্ষে মুক্তির ছাড়পত্র পেল ‘মাস্তি ৪’

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ