নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে নিজের ভুল শিকার করলেন বাংলাদেশের ভাইরাল গায়ক হিরো আলম। যাকে নিয়ে অবিরাম হাসাহাসি চলছেই নেটমাধ্যমে। বলা চলে, ইন্টারনেটে তিনি একজন হাসির খোরাক বনে গিয়েছেন। সৌজন্যে তাঁর ভুলভাল সুরের সঙ্গে ভুলভাল গান। কলকাতার মানুষের কাছেও ব্যপক চর্চিত তিনি। প্রায় সময়েই তাঁরই মতো ভাইরাল গায়কদের নিয়ে চটজলদি বানিয়ে ফেলেন এলবাম। আর সেটাই তখন হয়ে যায়, সোশ্যাল মিডিয়ার হাসির মেমে। বলা চলে, জেনেশুনেই হিরো আলম নিজের আজব প্রতিভা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রদর্শন করে পাবলিকের হাসির পাত্র বনে যান। কিছুদিন আগেই তিনি একটা ট্রাই নিয়েছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার জন্যে। আর তা করতে গিয়েই বিপাকে। রীতিমত ব্যপারটা আইন পর্যন্ত চলে যায়।
নেটিজেনদের দাবি উঠেছিল যে, হিরো আলম ইচ্ছে করেই রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইছেন বিকৃতি সুরে। আর এই ব্যাপারটা নিয়ে বাংলাদেশেও প্রায় হূলস্থুল পড়ে গেলেই অবস্থার বেগতিক দেখে হিরো নিজেই শিকার করে নেন যে, তিনি কোনোভাবেই রবীন্দ্রনাথকে অপমান করেননি। গানটি তিনি এইভাবেই গাইতে পেরেছেন। এমনকি এই নিয়ে জল আরও দূর গড়ালে হিরো নিজেই জানিয়ে দেন আর কখনো নজরুল-রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবেন না। গতকাল অর্থাৎ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন, আর কোনোদিন বিকৃত করে নজরুল ও রবীন্দ্র সংগীত গাইবেন না তিনি। বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হরুন এই তথ্য দিয়েছেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেছেন, ‘হিরো আলমের বিরুদ্ধে ডিবির সাইবার আ্যন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগে অনেকগুলো অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেগুলোর বিষয়ে আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাঁকে থানায় ডাকা হয়েছিল। সে মুচলেকা দিয়েছে, এবং জানিয়েছেন জীবনে আর নজরুল ও রবিন্দ্র সংগীত বিকৃত করে গাইবেন না তিনি, আর এধরনের ভিডিও বানাবেন না। এসব কেন করেছেন তিনি তা জানতে চাইলে সে জানিয়েছে, সে জীবনেও আর এমন গান করবে না, সে মুচলেকা দিয়েছে।’ পাশাপাশি অফিসার আরও জানিয়েছেন যে, মাঝে মাঝেই তিনি ডিআইজি-এসপির পোশাক পরে কনস্টেবলের ভূমিকায় অভিনয় করেন। এসব পোশাক পরতে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় পুলিশের, কিন্তু সে নেয় না। এমন কেন জানতে চাইলেও পোশাকের বিষয়েও সে মুচলেকা দিয়েছে।