নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রবীণ অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ, বরাবরই বেফাঁস মন্তব্যের কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার কটাক্ষের পাত্র হচ্ছেন। তবে তাতে বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই অভিনেতার। স্পষ্ট কথা বলতে কখনই ভয়ডর নেই অভিনেতার। যাই হোক, আবারও একটি বেফাঁস মন্তব্যের কারণে সমালোচনার মুখে পড়লেন অভিনেতা। তবে বেকায়দায় পড়তেই ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা। ব্যাপারটি ঠিক কী হয়েছে? গত সপ্তাহে অভিনেতার একটি মন্তব্য ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। যেখানে তিনি বলেন, “পাকিস্তানে সিন্ধি ভাষা আর বলা যায়না।”
অভিনেতা সাম্প্রতিক একটি শোতে গিয়ে এই কথা জানান। ট্রাইড অ্যান্ড রিফিউজড প্রোডাকশনস ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচারিত হওয়া অভিনেতার এই মতামতের ভিত্তিতে তাঁকে সমালোচনা করা হয়। আর এই ঘটনার পরেই স্বাভাবি ভাবে সিন্ধি ভাষী জনগোষ্ঠী ক্ষেপে বম্ব। নেটপাড়া উত্তাল হতেই ফেসবুকে একটি ক্ষমাপ্রার্থীর নোট শেয়ার করে অভিনেতা লিখেছেন, “ঠিক আছে আমি পাকিস্তানের সমগ্র সিন্ধিভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। যারা আমার ভুল মতামতের জন্য গভীরভাবে বিরক্ত হয়েছেন। আমি স্বীকার করছি যে আমি অসুস্থ ছিলাম কিন্তু এর জন্য কি আমাকে ক্রুশবিদ্ধ করা খুবই দরকার? যেমনটি যীশু বলেছেন। আসলে অনেক বছর ধরেই বুদ্ধিমান ব্যক্তিকে ‘অজ্ঞ’ বলা হয়। সমাজ জানেও যে বিষয়টি কতটা ভুল।”
তবে রবিবার তিনি ক্ষমা চাওয়ার আগে, স্বীকার করেছিলেন যে, তাঁর দাবিটি ভুল এবং “অপ্রয়োজনীয়” ছিল। তাঁর কথায়, “সম্প্রতি আমি যা বলেছি তা নিয়ে দুটি অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক শুরু হয়েছে। পাকিস্তানে সিন্ধি ভাষা সম্পর্কে আমার ভুল বক্তব্যটি ভুল।” এদিকে শাহের ক্ষমা প্রার্থনার প্রশংসা করে, পাকিস্তানি অভিনেতা আদনান সিদ্দিকী টুইটে লিখেছেন, “ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া প্রকৃতপক্ষে একজন ব্যক্তির চরিত্রের গভীরতা প্রমাণ করে। নাসির সাহেবের সাম্প্রতিক অঙ্গভঙ্গি দেখে আমি মুগ্ধ। ভুল স্বীকার করতে শক্তি এবং নম্রতা প্রয়োজন।”