এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘যতই যাই হোক নিজের বাংলা ভাষাকে ভুল না’, ভাষা দিবসে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ চঞ্চল, মিথিলার

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ‘মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!/তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!’ বাংলা ভাষা বাঙালির গর্ব, নিজের মাতৃভাষা বাংলা ভাষা। আজ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস। বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে বাংলাদেশের, বাঙালিদের আত্মত্যাগ আজও স্মরণীয়। বহু শহিদদের রক্তে রাঙা এই একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের সেই স্মৃতি আজও মনে তাজা বাঙালি দের। আজ থেকে ৭১ বছর আগের সেই দিনটি এখনও কতটা গুরুত্ব রাখে? জানালেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী এবং মিথিলা।

অভিনেত্রী মিথিলার কথায়, “২১ ফেব্রুয়ারি আমার নিজের ভাষার দিন, বাংলা ভাষার দিন। বাংলা ভাষার জন্য বাংলাদেশের ভাষা শহিদরা যে আত্মত্যাগ করেছেন, জীবন দিয়েছেন, সেই দিনটির গুরুত্ব আমার কাছে সবথেকে বেশি। বাংলা শুধু আমার ভাষা নয়, বাংলা আমার পরিচয়। আমি বাংলাদেশের মেয়ে, বাংলা আমার পুরো সত্ত্বা জুড়ে আছে। একটা ভাষার নাম দিয়েই একটা দেশ তৈরি হয়েছে, আমার জাতিগত পরিচয় পুরোটাই এই বাংলাভাষাকে ঘিরে। এই দিনটি আমাদের বেড়ে ওঠার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যায়। শুধু ঢাকা-তে নয়, বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় শহিদ মিনার আছে। ছোট থেকেই এদিনে ভোরে উঠে শহিদ মিনারে গিয়ে ফুল দেওয়া আমাদের অভ্যাস।”

“২১ ফেব্রুয়ারি শোকের দিন, কারণ দিনটি বহু ভাষা শহিদের রক্তে ভেজা, তবে একই সঙ্গে এই দিনটি আমাদের গর্বের, এই দিনে আমাদের উৎসব হয়। এখনকার প্রজন্মও বাংলাদেশে এদিনটিকে একইভাবে পালন করে থাকেন। তবে হ্যাঁ, শিশুরা, তরুণ-তরুণীরা যাঁরা ইংরাজি মাধ্যমে পড়ছেন, তাঁরা ভাষা আন্দোলনের কথা বইয়ে পড়তে পারছেন না। তবে বাবা-মায়ের মুখে শুনে বড় হচ্ছে। আজকাল কথা বলতে গেলে ইংরাজি মিশে যায়। কারণ অনেকেই ইংরাজি মাধ্যমে পড়েন। যেকারণে ছোটরা অনেকেই ইংরাজিটা স্বচ্ছন্দেই বলে। ছোট থেকেই বাংলাদেশের শিশুরাও ইংরাজিতে কথা বলছে। শুধু ইংরাজি কেন, অন্যভাষার সঙ্গেও পরিচিত হচ্ছে। ইংরাজিটা পৃথিবীর যেকোনও জায়গায় ব্যবহার করা যায়, তাই এখন ইংরেজি শেখানো হয়। আমার আসলে মনে হয়, এক ভাষার সঙ্গে অন্য ভাষার কোনও দ্বন্দ্ব নেই। আমিও শিল্পী হিসাবে ছোট্ট উদ্যোগ নিয়েছি। শিশুদের জন্য বাংলায় গল্পের বই লিখতে শুরু করেছি। সেটা ৪ থেকে ৮ বছরের শিশুদের জন্য। আমি শিশুদের নিয়েই কাজ করি। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে আমার ৪টি বই প্রকাশিত হয়েছে। আর সেটা বাংলায়। কারণ, বাংলায় শিশুদের জন্য এখন আগের মতো ভালো বই পাওয়া যায় না। তাই বাংলাতেই লিখব ঠিক করি।”

অন্যদিকে চঞ্চল চৌধুরীর কথায়, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা যদি ৭১ বছর পার করে বাঙালিদের নতুন করে বোঝাতে হয়, তাহলে সেটা আমাদের ব্যর্থতা। ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটি তো বাঙালির রক্তের সঙ্গে মিশে থাকা উচিত। এই যে আমি কথা বলছি, যেটা বলতে চাইছি, সহজেই বুঝিয়ে ফেলছি, এটা কি সত্যিই অন্যকোনও ভাষায় বোঝানো সম্ভব? তা সে আমি যতই অন্য ভাষায় পরিপক্ক হই। নিজের মায়ের মুখের ভাষাকে ছোট করার অর্থ নিজের মা-কেই তো অপমান করা। নিজের জন্মদাত্রী মায়ের মুখের ভাষায় কথা বলতে আজকাল অবশ্য কেউ কেউ লজ্জা পান। সেটা সত্যিই হাস্যকর। আমার প্রশ্ন, রাশিয়া, চিন, জাপান, জার্মানি সহ বেশকিছু দেশ আছে যেদেশের মানুষরা তো ইংরাজিতে কথা বলতেও চান না, খুব প্রয়োজন না পরলে। কই ওঁরা তো নিজেদের ভাষা নিয়ে লজ্জা পান না! তাহলে আমরা কেন?”

“এরজন্য অবশ্য কিছু পরিবার, কিছু মানুষজনই দায়ী, সেটা তাঁদের সঠিক শিক্ষার অভাব। কিছু মা-বাবা এবং পরিবারের অন্যান্যরা আছেন, যাঁরা তাঁদের সন্তান বাংলার থেকে ইংরাজি বললেই বেশি গর্ব করেন। পরিবারের শিক্ষাতেই আমরা নিজের মা-কে, মায়ের মুখের ভাষাকে ভালোবাসতে শিখি। ২১ ফেব্রুয়ারি নিয়ে বাংলাদেশের আজকালকার ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কতটা আবেগ থাকবে, সেটা নির্ভর করছে তাঁদের পরিবারের উপর। তবে যাই হোক ওকে আমি বলেছি, বাবা যে ভাষাই শেখো না কেন, বাংলাটা আগে ভালোভাবে শেখো, তারপর বাকি…। আজকাল বাংলায় কথা বলতে গেলে ইংরাজি মিশে যায়, কালের নিয়মে বিভিন্ন ভাষা মিলেমিশে যাবে, তবে বাংলাটা হারিয়ে যেন না যায়। যে শব্দ ইংরাজিতে বলছি, সেটার বাংলা শব্দও যেন জানা থাকে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মৃত্যুর ১০ দিন আগেও কোনও বিষয়ে খুব হতাশ ছিলেন সুশান্ত: মনোজ বাজপেয়ী

মায়ের হাতে ‘রত্নগর্ভা’ পুরস্কার তুলে দিলেন মিমি, বললেন ‘সেরা প্রাপ্তি’

কন্নড় অভিনেতার উপর আচমকা হামলা, মেরে নাক ফাটিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা, কারণ কী?

আদৃত-কৌশাম্বীর বিয়েতে যাননি, বিতর্কের মাঝেই রাজের সঙ্গে ভোটপ্রচার সৌমিতৃষার

মঞ্চে পারফর্ম করতে করতেই মৃত্যু জনপ্রিয় মারাঠি অভিনেতার

সকাল সকাল লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন ‘পুষ্পা’ আল্লু অর্জুন এবং জুনিয়র NTR

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর