নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা বছরের আজই ছিল শেষ বিয়ের দিন। এই বছরের মতো শেষ বিয়ে হয়ে গেলো। পরবর্তী বিয়ের পর্ব আগামী বাংলা বছরের প্রথম মাসেই। তাই আর দেরি করলে না, বছরের শেষে শুভকাজ সম্পন্ন করলেন বিশিষ্ট গায়ক দুর্নিবার সাহা। পাত্রী একেবারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সহকারী মোহর সেন। তবে মোহরের এটা প্রথম বিয়ে হলেও, দুর্নিবারের কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম প্রথম মোহরের সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে না জানলেও বেশিদিন আড়ালে রাখতে পারলেন না।
গতবছরেই মোহর নিজেই জানান, তাঁরা সঙ্গে দুর্নিবারের সম্পর্কের কথা। এর আগে ২০২১ সালে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করছিলেন দুর্নিবার। সেটাও প্রেমের বিয়ে, চারবছর লিভ-ইনের পর বিয়ে করেন তাঁরা। আইনি বিয়ে অবশ্য হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। করোনার সময়েই ধুমধামভাবে বিয়ে করে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মাথায় ভাঙন, সৌজন্যে তৃতীয় ব্যক্তি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দুর্নিবারের হাতে তুলে দিলেন মোহরকে। সাত পাকে বাঁধা পড়লেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। এক বছর প্রেম দুর্নিবার-মোহরের। এদিন পরনে লাল সুতোর কাজ করা সাদা পাঞ্জাবি, গলায় গোলাপের মালা পরে বিয়ের আসরে হাজির হলেন নতুন বর। সঙ্গে লাল বেনারসী ও মানানসই সোনার গয়নাতে মুড়েছিলেন মোহর। সাদা পাঞ্জাবী পরে সেজেছিলেন বুম্বা দা। অতিথি আপ্যায়ন থেকে বিয়ের খুঁটিনাটি সবটাই দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর। মোহরও তাঁর খুবই কাছের।
পিঁড়ি ধরা থেকে শুরু করে এলাহি আয়োজনের সমস্ত দায়িত্বে ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এদিন দুর্নিবার মোহরের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন নায়কের ছেলে তৃষাণজিৎও৷ মধ্য কলকাতার হোটেলে যেন এ দিন চাঁদের হাট৷ সঙ্গে এলাহি খাওয়াদাওয়া৷ মালাই কবাব, ফুচকা থেকে মাছের হরেক রকম পদ, পনির, মাটন কষা সঙ্গে হরেক রকমের মিষ্টি। বিয়ের শেষে নব দম্পতির মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করলেন প্রসেনজিৎ। জানালেন অভিনন্দন।