এই মুহূর্তে




‘তারকা বলে নয়, মানুষ হিসেবে গিয়েছিলাম’ শ্যামবাজারের হেনস্থা নিয়ে কী বলেলন ঋতুপর্ণা?

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি : আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে প্রতিবাদের ঢেউ কলকাতা থেকে জেলায় জেলায়। সর্বত্র একটাই দাবি, ‘বিচার চাই’। এরই মধ্যে শ্যামবাজারে রাত দখল কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শ্যামবাজারে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। তাঁকে ঘিরে দেওয়া হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। ভিড় ঠেলে কোনওক্রমে তিনি নিজের গাড়িতে উঠে পড়েন। তবুও গাড়ির উপরে সজোরে আঘাত করা হয়। বাধ্য হয়েই গাড়িতে উঠেই চলে যান অভিনেত্রী।

এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি জানান,‘আরজি কর কান্ডে সুবিচার চেয়ে ৪ সেপ্টেম্বর শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের প্রতিবাদী জমায়েতে উপস্থিত হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এত মানুষের প্রতিবাদ বৃথা যাবে না। আমিও সুবিচারের আশায় রয়েছি। জমায়েতে যোগ দিয়ে মোমবাতি জ্বালাই। কিন্তু  কিছুক্ষণের মধ্যেই আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লাম। আমার উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন অনেকে। চার পাশ থেকে উলুধ্বনি এবং শঙ্খ বাজিয়ে ব্যঙ্গ উঠল।’

একইসঙ্গে তিনি আরও জানান,গাড়িতে জুতো ছোড়া হয়েছে তাঁর। তিনি চিৎকার করে বলেন, আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছি, বসতে এসেছি। কিন্তু কেউ তাঁর কোন কথাই শুনলেন না। কিছু মানুষ প্রতিবাদের কথা মাথায় রাখেন নি। এমন এমনি জমায়েত করেছিলেন কিছু মানুষ।

তিনি খানিকটা হতাশ হয়ে আরও বলেন,‘বুঝতে পারছি, সকলেই ক্ষুব্ধ। তবে, কলকাতার প্রতিবাদী চেহারার মধ্যে এই চেহারাটা দেখে আমি লজ্জিত, আহত ও কম্পিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার রাতে (৪ সেপ্টেম্বর) আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত। আমি একজন অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ মানুষ হিসাবে, একজন মহিলা হিসাবে অন্য মহিলার পাশে দাঁড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু বিরাট সংখ্যক মত্ত এই ঘটনা ঘটাল। আচমকাই একটা জনস্রোত ধাক্কা দিতে শুরু করল। এত চিৎকার হচ্ছিল যে, কারও কোনও কথা শুনতে পাচ্ছিলাম না।’ একইসঙ্গে বলেন, তিনি তো একা নন , সোহম-শোলাঙ্কিরাও ছিল। তাঁদের গানের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছিলেন তিনি। এমন কিছুর সাক্ষী হবেন কল্পনাও করতে পারেন নি তিনি।

তিনি আরও বলেন, তিনি গতকাল তারকা হিসাবে নয়, মানুষ হিসাবে গিয়েছিলেন। নিহত চিকিৎসকের বাবা-মাও এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেন তিনি। তাঁদের আশ্বস্ত করতেন, লড়াইয়ের সঙ্গে তিনিও আছেন। কিন্তু সেসব কিছুই হল না। তবে তাঁর মনের মধ্যে প্রতিবাদ থাকবে। একই ভাবে সুবিচার চাইবেন তিনি।সেটাকে আটকানো যাবে না। এমন অসভ্যতা তিনি এর আগে দেখেন নি।মআসলে যাঁরা এটা করলেন তাঁদের মুখ্য উদ্দেশ্য আন্দোলন করা নয়। একজন তারকাকে হেনস্থা করা। কাউকে পাচ্ছেন না, তাই সামনে ঋতুপর্ণা ছিল ব্যস, ঝাঁপিয়ে পড়লেন। কিন্তু তিনি থেমে থাকবেন না। এই লড়াইয়ে সামিল হবেন তিনি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

চিকিৎসকদের মঙ্গলবার ৫ টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

আর জি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্যকে সহযোগিতার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বাংলায় মারা গিয়েছেন ২৩জন, সুপ্রিম কোর্টে জানালো রাজ্য

ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে প্রথম গণেশ পুজো সোনাক্ষীর

জুনিয়র চিকিৎসকদের ১ মাসের কর্মবিরতিতে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ৯ লক্ষ মানুষ

রাজপথে জনতার আন্দোলনের ঢেউয়ে জৌলুশ হারিয়েছে রবিবারের পুজোর মার্কেট

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর