নিজস্ব প্রতিনিধি: অভিষেক চট্টোপাধ্যায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় একমাস হতে চলল, তবুও যেন বিতর্ক থামার নাম নেই। একের পর এক বিতর্কে রোজ রোজই যেন জেরবার হচ্ছে নেটদুনিয়া। যদিও এর মধ্যে একটি বিতর্ক বেশি মাথাচারা হয়ে উঠেছে সকলের। কারণ, বছরকয়েক আগে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের ‘অপুর সংসার’ শো-তে এসে অভিষেকের করা একটি মন্তব্য ঘিরেই যত জল্পনা-কল্পনা।
ওই শোতে এসে অভিষেক বলেছিলেন যে, কীভাবে ইন্ডাস্ট্রির এক ‘দাদা’ আর এক ‘দিদি’ তাঁর টলিউড কেরিয়ার নষ্ট করেছিলেন, এমনকি একের পর এক তাঁর সই করা ছবি থেকেও তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিলেন! সকলের ধারনা, দাদা-দিদি বলতে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার নামই করেছিলেন অভিষেক। শুধু তাই নয়, অভিষেক মারা যাওয়ার কয়েকদিন পরেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে আরেকটি ‘ভুয়ো খবর’।
যেখানে বলা হয়, অভিষেকের মৃত্যুর পর নাকি তাঁর পরিবার আর্থিক কষ্টে ভুগছে, তাই অনেকে অর্থসাহায্য করেছেন অভিষেকের পরিবারকে, যাতে নাম ছিল ঋতুপর্ণা আর প্রসেনজিতেরও। এবার সংযুক্তার কথার সরাসরি প্রতিবাদ করে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, তিনি শুনেছিলেন অভিষেকের মৃত্যুর পর নানা বির্তক উঠেছিল। অভিষেকের মৃত্যুর পর তিনি নাকি সমবেদনা জানাননি, এমন কথাও উঠেছিল। কিন্তু তা মোটেও নয়, তিনি নিজেই অভিষেকের স্ত্রীর সঙ্গে ফোন করে কথা বলেছিলেন। যাই হোক, তিনি বরাবরই চাইবেন, এই জন্মে অভিষেকের মনে যা ক্ষোভ ছিল তা যেন মিটে যায়। তাঁর নাম, যেমন জ্বলজ্বল করত এই জন্মে, পরের জন্মেও যেন তাই করতে পারে!
এমনকি অভিষেক মারা যাওয়ার পর ঋতুপর্ণাও আবেগে ভেসে গিয়েছিলেন। তিনিও কাঁদো কাঁদো গলায় জানিয়েছিলেন, অভিষেক চট্টোপাধ্যায় বাংলা সিনেমার জগতকে অনেক কিছু দিয়ে গিয়েছে। সব দর্শক যেন প্রচুর সম্মানের সঙ্গে নায়ককে মনে রাখেন। একসময় এত ছবি করেছেন তিনি অভিষেকের সঙ্গে, ঠিক মনেও নেই কটা ছবি করেছেন। তবে শেষের দিকে অভিষেকের সঙ্গে তাঁর সেভাবে কথা হত না। ওঁর মনে অনেক ক্ষোভ ছিল। অনেক না পাওয়া ছিল নায়কের। তবে অভিষেক যেখানেই থাকুক খুব ভালো থাকুক। শান্তিতে থাকুক।