নিজস্ব প্রতিনিধি: বিবেক ওবেরয়, বলিউডের একজন প্রথম সারির অভিনেতা। এককালে যাঁর সঙ্গে প্রেমের চর্চা তুঙ্গে ছিল প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। এমনকী সলমন খানের কাছ থেকেও হুমকি পেয়েছিলেন তিনি ঐশ্বর্যকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যে। যাই হোক, সে বহু যুগ আগের কথা। বর্তমানে অভিনয় অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে তাঁর। আর ব্যক্তিগত জীবনের দুই সন্তানের বাবা। স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা আলভা ওবেরয়কে নিয়ে সুখের সংসার তাঁর। তবে সম্প্রতি তিনি একটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন। বলিউড তারকা দের সম্পত্তির অভাব নেই, এটা কমন ব্যাপার। কিন্তু কে কীভাবে তাঁদের সম্পত্তি ব্যবহার করছেন সেটাই একটা প্রধান ফ্যাক্টর।
এক্ষেত্রে অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের নামটা একটি উপরের দিকেই থাকবে। কারণ অভিনেতা তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িটিকে গোয়ান ফার্মহাউস স্টাইলে সাজিয়েছেন। সম্প্রতি আরবান কোম্পানিকে তারই একটি ঝলক দিলেন। তবে তাঁর বাড়ির আকর্ষণীয় দিক হল, তিনি গরুকে পোষ্য হিসেবে বাড়িতে রেখেছেন, এবং তাঁর জন্যে এলাহি ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা আলভা ওবেরয় তাঁদের বাড়িটিকে ফার্মহাউসের ন্যায় ডিজাইন করেছেন।এদিকে অভিনেতা আরবান কোম্পানিকে তাঁর পোষা গরু, কামধেনুর সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেন। সঙ্গে জানান, কীভাবে পোষ্যর উপস্থিতি তাঁর পরিবারকে একটি গ্রাম্য ঝলক দিয়েছে। আসলে অভিনেতা শহরের এত কোলাহল থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে একটু প্রশান্তি দিতে নিজের বাড়িটিকেই গ্রাম্য পরিবেশের মতো ডিজাইন করেছেন। অভিনেতা বলেন, “এটি আমার চেয়ে কামধেনুর বাড়ি বেশি। কারণ সে থাকা মানেই আমাকে গোয়ালঘরের সুগন্ধ অনুভব করাচ্ছে এবং এই শহরের থেকেও আপনি গ্রামীণ অনুভূতি নিতে পারবেন।”
এছাড়াও অভিনেতা তাঁর বাড়িতে গ্রাম্য পরিবেশ আনার জন্যে প্রাচীন জিনিসপত্র, কাঠের আসবাবপত্র, মার্জিত ঝাড়বাতি, দেবী লক্ষ্মীর বিশিষ্ট প্রতিকৃতি, এবং প্রচুর গাছপালা দিয়ে সাজিয়েছেন। যাতে তাঁর বাড়িতে একটি খামারবাড়ির পরিবেশ তৈরি হয়। তিনি বলেন, “আমরা যখন এই বাড়িটি কিনেছিলাম, আমরা চেয়েছিলাম এটি গোয়াকে প্রতিফলিত করুক। আপনি বাইরে যা কিছু দেখতে পাচ্ছেন, ভিতরে সবই একটি খামারবাড়ির সারাংশ।” লিভিং রুম এবং বেডরুমে ভ্রমণ করার সময়, বিবেক তাদের প্রাচীন জিনিসের কালেকশন দেখায়। তিনি বলেন, “এই বিছানাটি প্রিয়াঙ্কার পরিবারে অর্ধ শতাব্দী ধরে রয়েছে এবং সম্ভবত তার চেয়েও দীর্ঘ। তাই, আমি এটি পছন্দ করি কারণ ৪ বছর বয়সে আমি এইরকম বিছানায় ঘুমাতাম।”