এই মুহূর্তে




সইফ আলি খানকে হামলার পর বান্দ্রা বাসস্টপে ১ ঘন্টা ঘুমিয়েছেন অভিযুক্ত




নিজস্ব প্রতিনিধি: অভিনেতা সইফ আলি খানের বাড়ির ৩৫ কিলোমিটার দূরে একটি রিয়েল এস্টেটের কাছে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) গ্রেফতার হয়েছে সইফ আলি খানের মূল হামলাকারী। ধরা পড়ার ভয়ে হামলাকারী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ, বিজয় দাস নামে এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন। গ্রেফতারের পরে পুলিশ তাঁকে বান্দ্রা আদালতে পেশ করেন। এরপর আদালত অভিযুক্তকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গতকাল রাতে অভিযুক্তকে সান্তা ক্রুজের লক আপে রাখা হয়েছিল। আজ তাঁকে বান্দ্রা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, শেহজাদের কাছে কোনও ভারতীয় নথি নেই। সম্ভবত সে বাংলাদেশি। ৫-৬ মাস আগে ভারতে পালিয়ে আসে। এমনকী পুলিশ জানতে পেরেছেন, শেহজাদ বাংলাদেশের একজন জাতীয় স্তরের কুস্তিগীর ছিলেন।

এখানে নানা ঠিকেদারের কাজ করছিল সে। আদালতে শেহজাদের পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, শেহজাদ বাংলাদেশি নয়, সে ভারতের বাসিন্দা। এমনকী পুলিশের কাছে শেহজাদ শিকার করেছেন যে, বর্তমানে তাঁর কাজ না থাকার দরুন চুরির উদ্দেশ্যে সইফের বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্ত অভিনেতার কাছে ধরা পড়তেই তাঁকে ছুরি দিয়ে ৬ কোপ মেরে সেখান থেকে পালায়।

যদিও শেহজাদ গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক তথ্য পুলিশের হাতে উঠে আসছে। এখন জানা গিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি অভিযুক্ত সকাল ৭ টা পর্যন্ত বান্দ্রায় ছিলেন, বান্দ্রা পশ্চিমের পাটবর্ধন গার্ডেনের কাছে একটি বাসস্টপে ঘুমাচ্ছিলেন। এরপরে তিনি ট্রেনে চেপে ওয়ারলি পৌঁছন। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তদন্তানুযায়ী অভিযুক্ত সিঁড়ি দিয়ে প্রথমে সইফ আলি খানের ভবনের সপ্তম-অষ্টম তলায় উঠেছিলেন, এর পরে, নালীর পাইপ দিয়ে ১২ তলায় ওঠেন। তারপর বাথরুমের জানালা দিয়ে সাইফ আলি খানের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। যখন তিনি বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসেন, অভিনেতার কর্মীরা তাঁকে দেখেন, তাঁদের সঙ্গে তর্ক শুরু করে। তিনি ১ কোটি টাকা দাবি করেন। শোরগোল ও চিৎকার শুনে সইফ আলি খান সেখানে ছুটে আসেন। এবং অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা করলে অভিযুক্ত ভয় পেয়ে সইফের পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। সইফ তখন তার ফ্ল্যাটে তালা লাগিয়ে দেন কারণ তিনি ভেবেছিলেন অভিযুক্ত বাড়ির ভিতরে তালাবদ্ধ।

কিন্তু অভিযুক্ত যেখান থেকে সে প্রবেশ করেছিল সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অভিযুক্তের ব্যাগ থেকে হাতুড়ি, স্ক্রু ড্রাইভার, নাইলনের দড়ি এবং আরও অনেক কিছু উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ আরও জানায়, শেহজাদ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ঝালকাঠির বাসিন্দা। তিনি গত পাঁচ মাস ধরে মুম্বাইয়ে ছিলেন এবং এই সময়ে তিনি একটি হাউসকিপিং এজেন্সিতে কাজ করেছিলেন এবং আরও অনেক অদ্ভুত কাজও করেছিলেন। এদিকে লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, সইফ আলি খানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তাঁকে শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কী কাণ্ড! সাপের পর এবার ব্যাঙের প্রজাতির নামকরণ ‘টাইটানিক’ অভিনেতার নামে

কেরিয়ারে মাইলফলক ছুঁলেন ভিকি কৌশল, সব রেকর্ড ভেঙে ৩ দিনে ‘ছাভা’র আয় ১০০ কোটি

খোলা শার্টে ব্যাঙ্ককের যৌনপল্লিতে অমিতাভ, আড়াই ঘন্টা ধরে ‘নগ্ন শো’ দেখলেন বিগ বি

‘আমাদের মধ্যেও লড়াই হয়, কিন্তু…’, সুখী দাম্পত্যের টোটকা দিলেন অর্চনা পুরাণ সিংহ

‘আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না’, সুশান্ত-মৃত্যু মামলার শুনানি ১৯ ফেব্রুয়ারি, আশাবাদী বাবা

‘সত্যিই আমি প্রেগনেন্ট’, দ্বিতীয়বার মা হওয়ার জল্পনায় শিলমোহর দিলেন ইলিয়ানা

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর