নিজস্ব প্রতিনিধি: দেখতে দেখতে ৬০ টি বসন্ত পেরোলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা অভিনেতা হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যার ঝুলিতে রয়েছে প্রায় কয়েকশো বাংলা ছবি। কিন্তু বাংলায় তাঁর যে সন্মান, হিন্দিতেও তো হতে পারতো, বা হিন্দির নায়ক-নায়িকারাও তাঁকে টলিউডের দেওয়া বুম্বা দা নামে ডাকতে পারতো। কিন্তু তা হল না। কেন জানেন? কেরিয়ারের একেবারে গোড়ার দিকে, নায়ক সবে সবে বাংলা ছবিতে অভিনয় করা শুরু করেছেন। পর পর হিট ছবি দিয়েই চলেছেন। এই অবস্থায় ডাক আসে তাঁর বলিউড থেকে। তিনি মুম্বইতেও পাড়ি দেন, ডেভিড ধাওয়ানের ছবিতে আয়েষা জুলকার বিপরীতে কাজ করেন তিনি। না তাঁর হিন্দি সিনেমা অভিনয়ের শেষ এখানেই নয়, সলমনের ‘মেইনে পেয়ার কিয়া’ ছবিরও ডাক আসে। কিন্তু তিনি প্রত্যাখান করেন।
টলিউডের ভিতরে আজও গুঞ্জন যে, সে সময়ে যদি টলিপাড়া ছেড়ে ‘বুম্বাদা’ ছেড়ে চলে যেতেন তাহলে একাধিক প্রযোজক বিপদে পড়ে যেতেন। সেই কারণেই নাকি মুম্বইতে যাননি তিনি। বদলে সেই ছবির প্রস্তাব চলে যায় সলমন খানের কাছে। যদিও এখন যিশু সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো একাধিক তারকারা দাপটের সহিত টলিউড এবং বলিউডে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তখন টলিউডের হাল ফেরানোর দায়িত্ব ছিল বুম্বা দার। তাই সুযোগ এলেও তিনি যেতে পারেন নি টলিউড ছেড়ে, তবে এখনও অবশ্য বলিউডের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়নি। বর্তমানে তিনি দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় কাজ করেছেন একটি হিন্দি ছবিতে। আবার বেশ কিছু হিন্দি ছবির বাংলা রিমেকেও কাজ করেছেন তিনি।
কী হত তিনি বলিউড গেলে? একজন জনপ্রিয় পরিচালকের মতে মিঠুন চক্রবর্তীর মতো টলিউডও একজন জাতীয় স্তরে সুপারহিরোকে দেখতে পেত। কিন্তু এর চেয়েও বড় একটি প্রশ্ন? সেদিন যদি প্রসেনজিৎ বলিউড চলে যেতেন, তাহলে কি সলমন খান এতটা নাম করতে পারতেন? ‘বুম্বাদা’ ভক্তদের মতে, না একদমই নয়, তখন বলিউডে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রবেশ করলে আজ ক্যাটরিনা দীপিকাদের নায়ক বুম্বাদাই হতেন।