নিজস্ব প্রতিনিধি: হ্যাঁ, পুজোয় ধামাকাদার এন্ট্রি নিচ্ছেন টলি সুপারস্টার দেব, যদিও তিনি একা নন। তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধছেন টলিউডের আরেক সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। দেব-প্রসেনজিতের ‘কাছের মানুষ’এর একাধিক পোস্টার, গান ইতিমধ্যেই লঞ্চ হয়ে গিয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে এই ছবি। এই ছবির প্রযোজক স্বয়ং দেবই। তবে এতেই শেষ নেই, পুজো উপলক্ষ্যে একের পর এক নতুন চমক নিয়ে আসছেন প্রযোজক দেব। ঘোষণা করেছেন একের পর এক ছবির। এবার তিনি স্বয়ং মুম্বইনিবাসী বাঙালি পরিচালকের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, স্বনামধন্য পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায় রুক্মিণী মৈত্রকে নিয়ে ‘নটী বিনোদিনী’র পরিকল্পনা করছেন। বছর দুয়েক আগেই এমনটা শোনা গেলেও তার তেমন খবর মেলে নি। তবে এবার খবর পাকা।
আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ছবির কথা ঘোষণা করলেন পরিচালক। আর এই প্রোজেক্টের উপস্থাকের ভূমিকায় রয়েছেন দেবের ‘দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স’। এবার বিনোদিনী দাসীর জীবন পর্দায় তুলে ধরবেন রামকমল মুখোপাধ্যায়। ছবির নাম দিয়েছেন, ‘বিনোদিনী… একটি নটীর উপাখ্যান’ (Binodiini – Ekti Natir Upakhyan)। আর ছবির ফার্স্ট লুক দেখেই রীতিমত চমকে গিয়েছেন দর্শক। নটী বিনোদিনীরূপী রুক্মিণীর পরনে রয়েছে, গেরুয়া পোশাক, ঝুলছে উপবীত, কপালে চন্দনের শ্রীকৃষ্ণ তিলক, কোঁকড়ানো চুল। রুক্মিনীর নজরকাড়া লুক নিয়ে হতভম্ব হয়ে গেলেন তাঁর ভক্তরা। জানা গিয়েছে, এই ছবির জন্য বহুদিন ধরেই তালিম নিচ্ছেন রুক্মিণী। ধ্রুপদী নৃত্য শেখা থেকে শুরু করে সেইযুগের লেখা নানান বইও পড়ছেন তিনি। এককথায়, বিনোদিনীকে নিয়ে ভালই রিসার্চ চলছে নায়িকার।
‘নটী বিনোদিনী’ প্রসঙ্গে, একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা দেব জানান,’ রামকমল মুম্বইয়ের একজন প্রতিষ্ঠিত ফিল্মমেকার। রাম যে রুক্মিণীকে নিয়ে এই ছবিটা প্ল্যান করছে সেটা আমি জানতেই পারিনি, ওরা পোস্টারের টিজার শেয়ার করার পর আমি জানলাম গোটা ব্যাপারটা। আমার থেকে সযত্নে গোপন রেখেছিল। এই প্রোজেক্টের জন্য ওঁদের ভালোবাসা আর প্যাশন দেখে আমি মুগ্ধ, তাই এমন একটা প্রোজেক্টের সঙ্গে নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম না। এই ধরণের ছবি আজকাল হয় না, নটী বিনোদিনীর মতো সংবেদনশীল ব্যক্তিত্বকে নিয়ে ছবি তৈরি করতে সাহস লাগে। আমি নিশ্চিত রাম আর রুক্মিণী পর্দায় ম্যাজিক তৈরি করবে’। তবে এই ছবির সহকারী প্রযোজক অরিত্র দাস জানিয়েছেন, রুক্মিণীকে জানাই ধন্যবাদ। শিল্পী হিসাবে নয়, মানুষ হিসাবে যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে সেটা তাঁর কাছে আর্শীবাদের সমান। তবে ছবির কাস্টিং এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে সবকিছু খুব তাড়াতাড়ি ফাইনাল হবে। এই ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন প্রিয়াঙ্কা পোদ্দার। সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে থাকছেন মধুরা পালিত। কলকাতা ও বেনারসে জুড়ে চলবে এই ছবির শ্যুটিং।