নিজস্ব প্রতিনিধি: একসঙ্গে পর্দায় অভিনয় না করলেও দুটিতে সবসময় একে অপরকে চোখে হারান। মাঝে অবশ্য তাঁদের বিচ্ছেদের গুজব উঠেছিল বটে। কিন্তু কে দেয় পাত্তা! কোনও রহস্যে প্রতিক্রিয়া না করে শেষমেশ নিজেরাই রহস্যের সমাধান করেন। আসলে গুজব ওঠার কারণ, তাঁরা বেশ কিছু মাস ধরে একসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ধরা দিচ্ছিলেন না, রিলও বানাচ্ছিলেন না। যারা কিনা সামাজিক মাধ্যমের নয়নের মণি, তাঁদের একসঙ্গে ধরা না দেওয়ার বিষয়টি থেকেই শুরু হয় গুঞ্জন। এতক্ষন নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন কার কথা বলছি। টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রধান পাওয়ার জুটি নীল আর তৃণা। কী ভাবছেন তো, আজকে তাঁদের নিয়ে আলোচনার কারণ কী?
আসলে পুজোর সময়ে তাদের পুজো কেমন কাটবে, তা ছাড়া আলোচনার আর কী বিষয় থাকতে পারে তাই না! টলিউডের এই পাওয়ার কাপল কীভাবে পুজো কাটাবেন সেটাই আজ আমাদের আলোচ্য বিষয়! কলকাতার পুজো মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে, বিকেল হলেই বাতাসে ঠান্ডার আমেজ। সঙ্গে পুজো পুজো গন্ধ। পুজো মানেই মণ্ডপে বসে আড্ডা দেওয়া, জমিয়ে পেটপুজো আর পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া। তবে তারকাদের পুজো রুটিন কেমন থাকে, সেটা আপনাদের জানানোর দায়িত্ব আমাদেরই।
সম্প্রতি পুজোতে কেমন কাটাবেন তা জানালেন নীল ভট্টাচার্য আর তৃণা সাহা। তৃণা যদিও আজকাল সিনেমা-সিরিজে বেশি কাজ করছেন। অন্যদিকে নীলও ব্যস্ত তাঁর ধারাবাহিক বাংলা মিডিয়াম নিয়ে। যদিও শোনা যাচ্ছে, নইলে বাংলা মিডিয়াম খুব শীঘ্রই শেষ হচ্ছে। কী করবেন এবারে পুজোর পাঁচ দিন তাঁরা? একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে তৃণা জানালেন, পুজো পরিক্রমায় যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। একটু রাতের দিকে কোনও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেবেন পাড়ার মণ্ডপে। তবে কোনদিন কোন পোশাক পরবেন তা নিয়েও আগে থেকে ঠিক করে রাখেননি। আর খাওয়া-দাওয়া? অবশ্যই ডায়েটের কথা মাথায় রেখেই পেট পুজো হবে তাই তো? না একেবারেই নয়। তৃণা জানালেন, পুজো মানেই তাঁর কাছে সেটা চিট ডে। স্বাস্থ্যকর খাবার কথা মাথায় আসেনা। তবে তাঁর প্রিয় খাবার মটন। তা সে যেভাবে তৈরি করা হোক না কেন। দুপুরে-রাতে যে কোনও সময়তেই চলতে পারে। এদিকে নীল-তৃণাকে একসঙ্গে দেখতে খুবই পছন্দ অনুরাগীদের। ভালোবেসে নাম দিয়েছে তৃনীল। তবে এতদিন পর্দায় তাদের একসঙ্গে না দেখা গেলেও খুব শীঘ্রই ভক্তদের এই অপেক্ষা ঘুচতে চলেছে। তাদের একসঙ্গে প্রথম সিনেমার নাম ‘তিলোত্তমা’।