আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বকাপ থেকে প্রাপ্ত অর্থ শিশুদের কল্যাণের জন্য দান করবেন ওয়েস্ট হ্যামের প্রাক্তন স্ট্রাইকার বর্তমানে ইকুয়েডোরের জাতীয় দলের খেলোয়াড় এনের ভেলেন্সিয়া। ভেলেন্সিয়া জন্ম ইকুয়েডোর-কলম্বিয়া সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চল ইসমেরাল্ডায়। বলা হয়, বিশ্বের যে ১০টি জায়গা কুখ্যাত বলে পরিচিত, তার মধ্যে ইসমেরাল্ডা অন্যতম। খুন এখানে জলভাত। সমাজ-বিরোধীরা দাপিয়ে বেড়ায়। অর্থভাব থাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিবারের ছেলেরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। অল্প বয়সেই জড়িয়ে পড়ে নানা ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপে। ইকুয়েডোরের বাসিন্দাদের কাছে এই এলাকার পরিচয় স্মৃতির অতলে তলিয়ে যাওয়া একটি অঞ্চল।
এনের ভেলেন্সিয়া এবং তাঁর পরিবারও এক ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী। দুই বছর আগে তুরস্কের একটি ক্লাবের সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়। আর যেদিন ক্লাবে সই করেন সেইদিন তাঁর একমাত্র বোনকে সমাজবিরোধীরা অপহরণ করে। মুক্তি পেয়েছিলেন ঠিক। কিন্তু কীভাবে, সেটা আজও রহস্য রয়ে গিয়েছে।
ভেলেন্সিয়া নিজেও বড় হয়েছে অর্থকষ্টের মধ্যে দিয়ে। বাবা বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করতেন। মা আফ্রিকার নাগরিক হওয়ায় রাস্তায় বেরলে শুনতে হত কটু কথা। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতি ফুটবলে তাঁর জয়যাত্রাকে থামাতে পারেনি। স্থানীয় ক্লাব থেকে সরাসরি জাতীয় ক্লাবে। আর এবার বিশ্বকাপ ফুটবলের মঞ্চে। অর্থ রোজগার করলেও ভুলে যাননি সেই ভয়াবহ অতীত। ভুলে যাননি শৈশবে সমাজবিরোধীদের হাতে বোনের অপহরণ। তাই, বিশ্বকাপের ম্যাচ থেকে যে টাকা উপার্জন করবেন সেই টাকা দান করবেন শিশুদের কল্যাণে।