আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হওয়ার আগে থেকে একটা প্রশ্ন ঘুরতে শুরু করে মেসি ম্যাজিক না এমবাপে জাদু। একই ম্যাচে বিশ্ব দুটিই দেখতে পেলে। দেখল মেসি ম্যাজিক এবং এমবাপের দাপট। যে দল দুই গোলে পিছিয়ে ছিল, সেই দল গোল শোধ করে ম্যাচ নিয়ে যায় অতিরিক্ত সময়ে। কৃতিত্বের দাবিদার এমবাপে।
আর্জেন্তিনা দুই গোল করায় অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন তারাই হবে। এক এমবাপে হাওয়া মোরগের ঝুঁটি ঘুরিয়ে দেয়। প্রথম গোলের এক মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের নিষ্পত্তি হয় ট্রাইব্রেকারে। দোহার লুইসেল স্টেডিয়ামে দুনিয়ার সব থেকে উত্তাপ ছড়ানো এই ধ্রুপদী ম্যাচে আর্জেন্তিনা নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিয়েছে। ভাগ্য দুলতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত জয় তাদের।
২০১৪-য়ের পর আরও একবার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে আর্জেন্তিনা। আট বছর আগে ফাইনালে জার্মানির কাছে তাদের হারতে হয়েছিল। ৯০ মিনিটের পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১-০ গোলে জয়ী হয় জার্মানি। তাই, এবারের বিশ্বকাপ ফাইনাল মেসিদের কাছে ছিল দুঃখ-শোক ভোলার খেলা। সেই দুঃখ ভুলে শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হল মারাদোনার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
এমবাপের গতিকে ভালোভাবেই রুখেছে আর্জেন্তিনার রক্ষণভাগ। মাঝমাঠ কখনও ছিল গ্রিজম্যানের দখলে, কখনও ডি মারিয়াদের দখলে। বিশ্বকে কাঁপন ধরিয়ে দেওয়ার মতো একটি ম্যাচ হয়ে গেল কাতারে। মেসি দেখালেন জাদু। ম্যাচের নির্যাস বিশ্ব ফুটবলে লাতিন রাজ।
আরও পডুন দোহার মেট্রো যেন বনগা লোকাল, ভীড়ে দরজাই বন্ধ হয় না