নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: বালুচিস্তানের গ্বদর বন্দরে জঙ্গি হামলা ব্যর্থ করে দিয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীরা। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে খতম হয়েছে আট হামলাবাজ। আরও বেশ কয়েকজন হামলাবাজ বন্দর চত্বরে লুকিয়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা নিরাপত্তা রক্ষীদের। তাই গোটা বন্দরই চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। লুকিয়ে থাকা হামলাবাজদের খোঁজে শুরু হয়েছে বিশেষ তল্লাশি। গ্বদর বন্দরে হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে স্বাধীনতাপন্থী বালোচ সংগঠন বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)।
গত কয়েক বছর ধরেই বালুচিস্তান পাক সরকারের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। বেলুচ লিবারেশন আর্মি-সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠন লাগাতার হামলা চালিয়ে চলেছে। মূলত বালুচিস্তানে থাকা চিনা ইঞ্জিনিয়ার-সহ চিনা নাগরিকদের টার্গেট করে হামলা চালিয়ে চলেছে। পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে স্বাধিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করে চলেছে বেলুচ লিবারেশন আর্মি।
গ্বদরের সিনিয়র পুলিশ সুপার (অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন) জোয়েব মহসিন জানিয়েছেন, এদিন দুপুরে বন্দরে আচমকাই হামলা চালায় বন্দুকবাজরা। নির্বিচারে গুলি চালানোর পাশাপাশি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। গুলি ও বোমার শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বন্দরের কর্মী-আধিকারিকরা। প্রাণভয়ে অনেকে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। বন্দরের পোতাশ্রয়ে (অর্থাৎ জাহাজ ঘাঁটি) প্রবেশের চেষ্টা চালায় হামলাবাজরা। যদিও তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ফ্রন্ট কোর ও পুলিশ। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে গুলির লড়াই চলে। ওই গুলির লড়াইয়ে আট হামলাবাজকে নিকেশ করতে সফল হন নিরাপত্তা রক্ষীরা। যদিও মকরানের বিভাগীয় কমিশনার সঈদ আহমেদ উমরানি জনিয়েছেন, সাত হামলাবাজকে খতম করেছেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। পুলিশ ও প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তার পরস্পর বিরোধী দাবিতে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।