আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বউয়ের সঙ্গে ঝামেলা। স্বামী ঠিক করলেন তিনি আপাতত কয়েকদিন আলাদা থাকবেন। বাড়ি থেকে রাগে গজগজ করতে করতে সোজা হাসপাতালে। চিকিৎসকদের বললেন, মাঙ্কিপক্সের পরীক্ষা করতে হবে এবং রাখতে হবে আইসোলেশন ইউনিটে। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে চিকিৎসকদের তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের শরীরে যে সমস্ত লক্ষণ দেখা যায়, তার শরীরে সেই সমস্ত রোগের লক্ষ্মণ রয়েছে। চিকিৎসকেরা দেখেন দাবি পুরোপুরি ফেলে দেওয়া যায় না। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেল মাঙ্কিপক্সের কিছু লক্ষ্মণ তাঁর শরীরে রয়েছে। তাই, তাকে আইসোলেশন ইউনিটে রাখার সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ছিলেন দু-চারদিন। তারপর হঠাৎ হাসপাতাল থেকে গায়েব। ঘটনায় হাসপাতালে হৈহৈ কাণ্ড। রোগীকে খুঁজে বের করতে না পারলে তো মহাবিপদ। খবর দেওয়া হল পুলিশকে। সেই সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তির ছবি। পুলিশ কিছু সূত্র হাতে পায়। সেই সূত্র ধরে পুলিশ হানা দেয় সেই হোটেলে, যেখানে ওই ব্যক্তি এবং তাঁর স্ত্রী একসঙ্গে থাকতেন। পুলিশ তাঁকে ফের পাকড়াও করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
করোনাকালে ভারতের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগী পালিয়ে যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে বলে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে আনা হয়েছে। দরজার সামনে অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়াতেই রোগী দরজা খুলে গায়েব।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এদিন জানিয়েছে বিশ্বজুড়ে ২৯টি দেশে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে এক হাজারজন আক্রান্ত হয়েছেন। সময় থাকতে থাকতে পদক্ষেপ করা জরুরি। তবে এই সতর্কবার্তার মাঝে এই ঘটনা সাময়িক সময়ের জন্য হলেও আমাদের মন হাল্কা করবে।
আরও পডু়ন বাঁধাকপির অভাবে বিপাকে KFC, বৈঠকে বসছে অস্ট্রেলিয়া মন্ত্রিসভা