আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক নাভালনির মৃত্যু নিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে তার মৃত্যুর দু সপ্তাহের মৃতদেহ হাতে পাবে পরিবারের সদস্যরা। রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মরদেহ দুই সপ্তাহ রাখা হবে বলে পরিবারের তরফে জানান হয়েছে।
গত ১৬ ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে খার্পের আইকে-৩ পেনাল কলোনিতে পায়চারি করার সময়ে অসুস্থ বোধ করেন তিনি। অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান। ওই খবর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চিকিৎসকরাও। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যুর কোলে পাড়ি জমিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের কট্টর সমালোচকের। বর্তমানে তার মরদেহ কোথায় রয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই নাভালনির মৃত্যু নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ছে পুতিন।
উল্লেখ্য, তবে ঠিক কি কারণে নাভালনির মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসাবেই পরিচিত ছিলেন আলেক্সি নাভালনি। সাধারণ মানুষের মধ্যেও তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী।
২০২০ সালে সাইবেরিয়া যাওয়ার সময়ে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অভিযোগ ওঠে, তাঁকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। সে যাত্রায় অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে যান। জার্মানি থেকে ফেরার পরেই নাভালনিকে গ্রেফতার করা হয়। জালিয়াতির অভিযোগে সাড়ে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। গত বছরের অগস্টে দেশদ্রোহিতার দায়ে আরও ১৯ বছরের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছিল এক রুশ আদালত।রাজধানী মস্কো থেকে প্রায় ১,৯০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বের খার্পের আইকে-৩ পেনাল কলোনিতে বন্দি রাখা হয় তাঁকে। ওই কারাগারটি পোলার উলফ নামে পরিচিত। তবে নাভালিনির এই মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে জোরকদমে চর্চা।