এই মুহূর্তে




কে ইয়াহিয়া সিনওয়ার? কতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন হামাস প্রধান?




আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইজরায়েলি বাহিনীর হাতে খতম হয়েছেন প্যালেস্টানিয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নয়া প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যাকারী’ সিনওয়ারকে নিকেশ করার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু কে এই ইয়াহিয়া সিনওয়ার? যাঁকে মারতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছিল ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র?

১৯৬২ সালের ২৯ অক্টোবর গাজার খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তাঁর বাবা-মা ১৯৪৮ সালে আরব-ইজরায়েল যুদ্ধের সময়ে আশকেলন থেকে বাস্তুচ্যূত হয়ে ওই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ১৯৮০ সালের গোড়ার দিকে গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন সিনওয়ার। যদিও পড়াশোনার পরিবর্তে কীভাবে প্যালেস্টাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলা যায়, সে দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে ইসলামি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে তাঁকে আটক করা হয়। ১৯৮৫ সালে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আল-মাজেদ নামে একটি ইসলামি সংগঠন গড়ে তোলেন সিনওয়ার। ১৯৮৭ সালে গঠিত হয় প্যালেস্টানিয় সশস্ত্র সংগঠন হামাস। আর ওই সংগঠনের সঙ্গে মিশে যায় আল-মাজেদ। হামাসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব বর্তেছিল সিনওয়ারের কাঁধে। ১৯৮৮ সালে তাঁকে আটক করে ইজরায়েল প্রশাসন। পরের বছর ইজরায়েলকে সহযোগিতাকারী প্যালেস্টানিয়দের খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন সিনওয়ার। পৃথক চার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয় তাঁকে। দীর্ঘ কারাবাসের সময়ে জেলের অন্দরেই কয়েদিদের সংগঠিত করেন তিনি। এমনকি কয়েদিদের দিয়ে অনশন আন্দোলনও গড়ে তোলেন। ২০১১ সালে প্যালেস্টাইন ও ইজরায়েলের মধ্যে বন্দিমুক্তি চুক্তির কারণে  জেল থেকে ছাড়া পান সিনওয়ার।

গাজায় ফেরার পরেই হামাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১২ সালের এপ্রিলে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্যপদ লাভ করেন। ২০১৫ সালে সিনওয়ারের নাম আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর ৭ অক্টোবর অতর্কিতে ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধা। কয়েক ঘন্টার মধ্যে তেল আবিব থেকে শুরু করে ইজরায়েলের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে কয়েক হাজার রকেট নিক্ষেপ করা হয়। ওই হামলায় ১,২০০ ইহুদি প্রান হারান। পাশাপাশি ইজরায়েল থেকে ২৪০ জনের বেশি মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস যোদ্ধারা। ওই হামলা সিনওয়ারের মস্তিস্কপ্রসূত বলেই বদ্ধমূল ধারণা ইজরায়েলি সেনার। ফলে সিনওয়ারকে খতম করার লক্ষ্য নিয়ে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজা, রাফা-সহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল ইজরায়েলি সেনারা। গত জুলাইতে ইজরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তাঁর মৃত্যুর পর সংগঠনের হাল ধরেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। অবশেষে বুধবার রাফায় ইজরায়েলি সেনার হামলায় খতম হলেন তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সিনওয়ারের মৃত্যু হামাস যোদ্ধাদের কাছে বড় ধাক্কা। নতুন করে সংগঠনকে গড়ে তোলার মতো দক্ষ এবং কৌশলী নেতা হামাসে রইল না।  




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অক্সফোর্ডে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মিশর উপকূলে সাবমেরিন ডুবে সলিল সমাধি ৬ পর্যটকের

বদলে যাওয়া বাংলার গল্প শোনাতে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডের পথে মমতা

ঘুর্ণি দরজার ধাক্কায় মৃত্যু বৃদ্ধার, ৭৮ বছর বাদে ট্রাম্পের হোটেলের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা

বিমানবন্দরে আচমকাই নগ্ন হয়ে রেস্তোরাঁ ম্যানেজারকে কামড়ে দিলেন সামান্থা

ইজরায়েলি হামলায় পরপর দুই বাগদত্তার মৃত্যু, বোবা হয়ে গিয়েছেন ফিলিস্তিনি যুবক

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর