আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আরও উন্নত টিকা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চাইছে অক্সফোর্ড। ভবিষ্যতে টিকার কার্যকারিতা আরও বাড়াতে চাইছে আন্তর্জাতিক মানের এই প্রতিষ্ঠান। তারা চাইছে মানুষ এই ব্যাপারে এগিয়ে আসুক। কারণ, তাদের শরীরে প্রবেশ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটান হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলেন ম্যাকশেনে জানিয়েছেন, মানবদেহে এই ধরনের পরীক্ষা আগেও হয়েছে। বিভিন্ন ছোঁয়াচে রোগের ক্ষেত্রে এই ধরনের পরীক্ষা আগেও হয়েছিল। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে এই প্রথম এই ধরনের পরীক্ষা করা হল।
তবে সবাই এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। প্রথমত, যারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী (ছেলে-কিম্বা মেয়ে), একমাত্র তারাই এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। আর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০-য়ের মধ্যে। প্রত্যকের ১৭ দিন নিভৃতবাস বাধ্যতামূলক। পরীক্ষা থেকে কী কী জানা যাবে?
পাকিস্তানে করোনার ঘোড়ার লাফ, আক্রান্ত লক্ষ ছুঁই ছুঁই
জানা যাবে, মানবদেহে কোভিডের সংক্রমণ ঘটাতে কত পরিমাণ ভাইরাস প্রয়োজন হয়। সংক্রমিত হওয়ার পর প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে কত পরিমান টি সেল (অর্থাৎ অ্যান্টিবডি) প্রয়োজন হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক হেলেন ম্যাকশেন একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পেতে কী পরিমাণ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রয়োজন হয়, তা জানার পর নতুন টিকা তৈরির ক্ষেত্রে সেই মাত্রায় অ্যান্টবডি যোগ করা হবে।
এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে, সে কথা মাথায় রেখে স্বেচ্ছায় আক্রান্তদের ওপর বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। উপসর্গ দেখা দিলে এদের মোনোক্লোনাল অ্যান্টবডি ট্রিটমেন্ট করানো হবে বলেও জানিয়েছে অক্সফোর্ডের বিশিষ্ট গবেষকদের দল।