এই মুহূর্তে




অপহৃত ট্রেনের ১০৪ পণবন্দি উদ্ধার, ১৬ বালুচ জঙ্গিকে খতম করল সেনা




নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামবাদ: বালুচ বিদ্রোহীদের হাতে পণবন্দি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি ১৬ জন জঙ্গিকে খতমও করেছে সেনা সদস্যরা। বাকি পণবন্দিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে বালুচ বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুমুল লড়াইয়ে আরও ৩০ সেনা জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। অপহরণের পর ১৮ ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বালুচ বিদ্রোহীদের হাত থেকে সব পণবন্দিকে উদ্ধার করতে না পারা নিয়ে আজব যুক্তি দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তাঁর দাবি, ‘দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণেই উদ্ধারকার্যে দেরি হচ্ছে।’

গতকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার যাওয়ার পথে জাফর এক্সপ্রেসের দখল নেয় বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির জঙ্গিরা। পাহাড় ঘেরা রেলপথের আট নম্বর সুড়ঙ্গের ভিতরে যাত্রী সমেত জাফর এক্সপ্রেসকে ছিনতাই করে বালুচ বিদ্রোহীরা। ছিনতাইয়ের পরেই সেনারা যাতে জঙ্গিদের কাছে পৌঁছতে না পারে তার জন্য পিছনে থাকা ট্রেন লাইন বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হয়। ট্রেন ছিনতাইয়ের খবর পেয়েই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে বালুচিস্তান প্রাদেশিক সরকার। অপহৃত ট্রেন দখলমুক্ত করতে সেনা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাল্টা সেনা অভিযান নিয়ে শাহবাজ শরিফ সরকারকে চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল বালুচ বিদ্রোহীরা।

তবে সেই হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব না দিয়ে রাতেই পণবন্দিদের উদ্ধার ঝাঁপিয়ে পড়ে সেনাবাহিনী। অপহৃত ট্রেনের কাছে পৌঁছতেই সেনা সদস্যদের উপরে হামলা চালায় বালুচ বিদ্রোহীরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনা সদস্যরাও। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল লড়াই। তবে তার মধ্যেই পণবন্দি যাত্রীদের বালুচ বিদ্রোহীদের কব্জা থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় সেনা সদস্যরা। উদ্ধার অভিযানে সামিল হওয়া এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, ট্রেনে থাকা মহিলা ও শিশুদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার  করছে জঙ্গিরা। তাই সাবধানেই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পণবন্দি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৭ জন আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে এখনও অভিযান চলছে।

অন্যদিকে, জাফর এক্সপ্রেস ছিনতাই হওয়ার পরেই দেশের বিভিন্ন স্টেশন থেকে  কোয়েটাগামী ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান রেল মন্ত্রক। কেননা কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারগামী ট্রেন পাহাড় ঘেরা রেলপথের আট নম্বর সুড়ঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পাক সেনাদের সঙ্গে বালুচ বিদ্রোহীদের ব্যাপক গোলাগুলি চলছে। ফলে রেল মন্ত্রক কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না।  

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নিলামে রেকর্ড গড়ল মকবুল ফিদা হুসেনের আঁকা ছবি, বিক্রি হল কত টাকায়?   

টেসলার সিইও’র গদি টলমল মাস্কের, ইস্তফার দাবি লগ্নিকারীদের

চিনের পর এবার ব্রাজিলে ভয় ধরাচ্ছে নতুন করোনা ভাইরাস,কীভাবে ছড়াচ্ছে?

বিশ্বের সুখীতম দেশ কোনটি জানেন? কত নম্বরে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান?

পুতিনের জন্য ফোনে কথা বলতে ট্রাম্পকেও এক ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হল

‘হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত থামব না’, গাজায় রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুমকি নেতানিয়াহুর

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর