আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দেশের ক্ষমতাচ্যূত প্রধান আউং সান সু চি’কে দুর্নীতির দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে মায়ানমারের সামরিক আদালত। বুধবার ওই রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ফের একবার বিচারের নামে প্রহসনের অভিযোগে সরব হয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী নেত্রীর পরিবারের সদস্যরা। যদিও দেশটির সামরিক শাসকরা সেই অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছেন, সঠিকভাবেই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
গত বছরের পয়লা ফেব্রুয়ারি দেশের পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু মুখেই মায়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। দেশের সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন সেনা আধিকারিকরা। সামরিক অভ্যুত্থানের পরেই দেশের প্রধান সু চি-সহ মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।
দেশের ক্ষমতাচ্যূত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগে মোট ১১টি মামলা দায়ের করা হয়। সু চি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, সোনা ও নগদ মিলিয়ে তিনি ছ লক্ষ ডলারের মতো ঘুষ নিয়েছেন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন ৭৬ বছরের রাজনৈতিক নেত্রী। প্রথম মামলাতে তাঁকে এদিন পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানোর পরে সু চি’র পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত, বাকি মামলাগুলিতেও একই ধরনের সাজা শোনানো হবে। আর কখনও যাতে রাজনীতিতে অংশ নিতে না পারেন নোবেল জয়ী নেত্রী, তা নিশ্চিত করতে চাইছে সামরিক শাসকরা। গত ফেব্রুয়ারিতে আটক হওয়ার পরেই এক অজ্ঞাতস্থানে সু চি’কে বন্দি করে রাখা হয়েছে। মায়ানমারের ক্ষমতাচ্যূত প্রধানের মুক্তির দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে ইতিমধ্যেই তিন হাজারের বেশি আন্দোলনকারী সেনা ও পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন মায়ানমারে গণতন্ত্রপন্থী দুই নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দিল সামরিক আদালত