নিজস্ব প্রতিনিধি, কলম্বো: ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েও জনরোষ থেকে বাঁচতে পারলেন না শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী (Sri Lanka Prime Minister) রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremsinghe) । শনিবার রাতে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণার পরেই তাঁর ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় (Pmo) থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে বিক্রমসিংহের ব্যক্তিগত বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা জানানো হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
গত মে মাসে দেশে চরম আর্থিক সঙ্কট দেখা যাওয়ার পরেই শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা আজাপক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। শুধু আজাপক্ষে নয়, শাসকদলের একাধিক সাংসদের বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। চলে ভাঙচুর। তিন মাসের মাথায় যেন সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল।
১৯৪৮ সালের পরে চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কাবাসী। জ্বালানি নেই। খাবার নেই। ওষুধও মিলছে না। কার্যত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। আর দেশের এই চরম দুরবস্থার জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষকেই দায়ী করেছেন দ্বীপরাষ্ট্রটির আমজনতা। এদিন সকালেই প্রেসিডেন্টের অপসারণের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। পুলিশের বাধা টপকে দখল করে নেন প্রেসিডেন্ট ভবন। পরিস্থিতি বেগরিক বুঝতে পেরে শুক্রবার রাতেই সরকারি বাসভবন ছেড়ে সেনাদের আশ্রয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজাপক্ষে। এদিন সকালেই অবশ্য দেশ ছেড়ে তিনি বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন বলে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। কিন্তু তাতেও শান্ত হননি আন্দোলনকারীরা।