আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিজের অফিসে আত্মহত্যা করলেন মার্কিন ধনকুবের টমাস লি। তাঁর দফতর সূত্রে খবর, অফিসে নিজের চেম্বারে বন্দুক বের করে মাথায় ঠেকিয়ে পরপর গুলি চালায়। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়। অফিস থেকে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ সেখানে পৌঁছে টমাস লিয়ের ঘরের তালা ভাঙে। ঢুকে দেখে নিজের চেয়ারে বসে রয়েছেন অর্বুদপতি। মাথা গুলিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে।
আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার ম্যানহাটনের ৭৫৭ নম্বর ফিফথ অ্যাভিনিউতে, সকাল ১১টায়। অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারেও অফিসে এসেছিলে টমাস লি। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। অফিসের কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন, তারা টমাস লিয়ের ব্যবহারে বা কথাবার্তায় কোনও অস্বাভিকতা দেখেনি। ১১ টা নাগাদ নিজের চেম্বারে ঢুকে টমাস লি দরজা বন্ধ করে দেন। আচমকাই দফতরের কর্মীরা শোনেন গুলির আওয়াজ। প্রথমে তাদের মনে হয়েছিল, অফিসে কোনও জঙ্গি বা দুষ্কৃতি ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করেছে। তারা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে অফিস ছেড়ে পালাতে শুরু করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে গিয়ে গোটা অফিস ঘিরে ফেলে। হামলাকারীকে মাইকিং করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি তারা অফিসের ভিতরে ঢোকে। ঢুকতেই দেখে টমাসের চেম্বার থেকে তাজা রক্ত বেরিয়ে আসছে। দরজা ভেঙে তারা দেখে মার্কিন ধনকুবেরের মাথা টেবিলে হেলে পড়ে রয়েছে। বন্দুক পড়ে মাটিতে। কর্মীরা রীতিমতো বিস্মিত। শুরু তদন্ত। আত্মহত্যার কারণ খোঁজা শুরু।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অসমে শুরু নাবালিকা আত্মহত্যা