নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: এ যেন সার্কাসের ট্রপিজের খেলা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে কার্যত ট্রপিজের খেলা চলছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইমরান খানের দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে ফের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দলকে ব্যাট প্রতীক ফিরিয়ে দিয়েছিল পেশোয়ার হাইকোর্ট। ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা রিভিউ পিটিশনে ফের পিটিআইয়ের ব্যাট প্রতীক বাজেয়াপ্ত করলেন পেশোয়ার হাইকোর্টের বিচারপতি এজাজ খান। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে বৈধ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আর তার ফলে আসন্ন সংসদ ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোটে ব্যাট প্রতীকে লড়ার অধিকার হারালেন পিটিআই প্রার্থীরা।
গত ২২ ডিসেম্বর আচমকাই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ বাতিল করে দেয় পাক সেনাবাহিনীর পোষ্য ভৃত্য হিসাবে কুখ্যাত পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বাধীন কমিশনের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ পিটিআইয়ের প্রতীক কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি দলটির সাংগঠনিক নির্বাচনকেও বেআইনি ঘোষণা করে। পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের ওই সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়ে পিটিআই নেতৃত্ব। নির্বাচনী প্রতীক বাতিলের পিছনে পাক সেনা প্রধান আসীম মুনির এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পেশোয়ার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পিটিআই নেতৃত্ব।
দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে ২৬ ডিসেম্বর রায় দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেন বিচারপতি কামরান হাসান মিয়াঁখেল। সেই সঙ্গে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশে অনেকটাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলেন ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা। কিন্তু বিচারপতি কামরান হাসান মিয়াঁখেলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। বুধবার কমিশনের নির্দেশকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন বিচারপতি এজাজ খান।