এই মুহূর্তে




রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানকে অপসারণে ইউনূসকে সমর্থন তারেকের




নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামানকে অপসারণের ক্ষেত্রে তদারকি সরকারের পাশে থাকবে বিএনপি। আজ শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসকে এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানকে অপসারণের ক্ষেত্রে সমর্থন জানানোর বিনিময়ে জাতীয় নির্বাচন এপ্রিল থেকে এগিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে করার আশ্বাস দিয়েছেন মোল্লা ইউনূস।

গত বছরের ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা জমানার অবসানের পরেই রাষ্ট্রপতির পদ থেকে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু সাংবিধানিক সঙ্কটের দোহাই পেড়ে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিরোধিতা করে আসছিল দেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি। শুধু তাই নয়, মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে তদারকি সরকারের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সঙ্ঘাতেও জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিএনপি নেতারা। ফলে খানিকটা চাপে পড়ে যায় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তদারকি সরকার।

বিদেশি প্রভুদের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় দুজনকেই অপসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনূস গ্যাং। আর সেক্ষেত্রে দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপির সমর্থন পাওয়া যে জরুরি তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি ক্ষমতালোভী সরকারের। তাই বিএনপিকে পাশে পেতে তারক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের জন্য লন্ডন উড়ে এসেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে ডরচেষ্টার হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসেন তিনি। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে বিএনপির তরফে হাজির ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী-হুমায়ুন কবির এবং তদারকি সরকারের তরফে হাজির ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তথা মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র চর খলিলুর রহমান।

বৈঠকে দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামানকে অপসারণ কেন জরুরি তা ব্যাখ্যা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানকে ক্ষমতা থেকে না সরালে তদারকি সরকার ও বিএনপি-উভয়েই বিপদে পড়বে। কেননা যে কোনও মুহুর্তে দেশে সামরিক শাসন জারি হতে পারে।’ রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানকে অপসারণের ক্ষেত্রে বিএনপির সমর্থন চান ইউনূস। তারেককে তিনি বলেন, ‘আপনার মা খালেদা জিয়ার কল্যাণেই আমি নোবেল পেয়েছিলাম। আমার লক্ষ্য হচ্ছে, বিএনপিকে দেশের ক্ষমতায় বসানোর। প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে দেশের বিচারবিভাগ ও প্রশাসনের শীর্ষ পদে তাই বিএনপি ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ করেছি। পুরো নির্বাচন কমিশনও বিএনপি ঘনিষ্ঠদের দিয়ে সাজিয়েছি। আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের শীর্ষ নেতাদের আমি বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সেই প্রতিশ্রুতি রাখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছেন রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান। দুজনকে অপসারণের ক্ষেত্রে  আপনি পাশে থাকুন। বিনিময়ে আমরা আপনাদের দাবি মেনে এপ্রিলের পরিবর্তে আগামী বছর রমজানের আগে অর্থা‍ৎ ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করব।’ তারেক জানান, রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানকে অপসারণের ক্ষেত্রে তদারকি সরকারের পাশে থাকবে বিএনপি। তবে তদারকি সরকার যদি নির্বাচন নিয়ে কথার খেলাপ করে তাহলে জানুয়ারিতেই রাজপথে নামবে বিএনপি কর্মীরা। এমন আন্দোলন করা হবে যা দেশের ইতিহাসে অতীতে দেখা যায়নি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ইয়েমেনে খুনের দায়ে কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়াকে ফাঁসি দেওয়া হবে ১৬ জুলাই

ভারতের নির্বাচন কমিশনকে কালো তালিকাভুক্ত করল ইউনূস সরকার

নেপাল-চিন সীমান্তে আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেল একের পর এক গাড়ি, নিখোঁজ অন্তত ১৮

 মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শেখ মুজিবের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ মোল্লা ইউনূসের

সিরিয়ার তাহরির আল শামের উপর থেকে জঙ্গি তকমা প্রত্যাহার ট্রাম্প প্রশাসনের

৫৩ তম জন্মদিন, লন্ডনে স্ত্রী ডোনার সঙ্গে কেক কাটলেন সৌরভ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ