আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লাগাতার চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত অবশ্য পিছু হঠল চিন সরকার। শনিবার শি চিনফিংয়ের দেশের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রথমবার নীরবতা ভেঙে জানানো হল, গত ৩৫ দিনে দেশটিতে করোনা সংক্রান্ত উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ৫৯ হাজার ৯৩৮ জন। মৃতদের অধিকাংশই প্রবীণ।
গত মাসখানেক ধরেই মারণ ভাইরাসের আঁতুরঘর চিনে নতুন করে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতির অতি সংক্রামক উপরূপ বিএফ.৭। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন ধরেই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশের জন্য চিন সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশ চিনা নাগরিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। করোনার নেগেটিভ শংসাপত্র ছাড়া চিনা নাগরিকদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। তার মধ্যেই শুক্রবারই চিনের পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, ইতিমধ্যে দেশের ৬৪ শতাংশ বাসিন্দা অর্থাৎ ৯০ কোটি চিনা নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের অধীনে থাকা ব্যুরো অফ মেডিক্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান জিয়াও ইয়াহুই সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৯ হাজার ৯৩৮ জনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদেরই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ৫ হাজার ৫০৩ জন মারা গিয়েছেন। আর করোনার সঙ্গে অন্য রোগের কারণে ৫৪ হাজার ৪৩৫ জন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। মৃতদের মধ্যে ৯০ শতাংশ রোগীর বয়স ৬৫ বছরের উপর।