আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চিনের কয়েকটি প্রান্তে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পেতেই স্থানীয় প্রশাসন জারি করেছিল কড়া বিধিনিষেধ। সেই বিধিনিষেধের ফলে, সেই সব অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে তৈরি হয় ক্ষোভ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কিছু ছবি দেখে মানুষ চমকে উঠেছিল। নানা প্রান্ত থেকে দাবি ওঠে বিধিনিষেধ শিথিলের। ক্ষোভ প্রশমিত করতে প্রশাসন বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করায় ফের সেই সব এলাকায় মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন।
চিনের মহামারী বিশেষজ্ঞ ঝং নানশান জানিয়েছেন, চিনে ওমিক্রন ভাইরাস এখনও সক্রিয়। সক্রিয় এতটাই যে এক আক্রান্তের থেকে একসঙ্গে আঠারোজন আক্রান্ত হচ্ছেন। চিনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই ভাইরাস মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণে লাগাম পরাতে স্থানীয় প্রশাসন করোনা পরীক্ষার ওপর জোর দিচ্ছেন। বাইরে থেকে যাঁরা আসছেন, তাদের বিমানবন্দরেই চলছে করোনা পরীক্ষা।
চিন প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, শনিবার চিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১,৬৬১জন। আর গত ৬ ডিসেম্বর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৯৭৪জন। ৬ ডিসেম্বরের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৪২ শতাংশ।তাতেও চিন প্রশাসন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছে না।
অন্যান্য সময়ে রবিবার মানেই চিনের নানা প্রান্তে ব্যস্ততা। কিন্তু করোনা নতুন করে প্রাদুর্ভাব শুরু করায় ব্যস্ত এলাকা প্রায় জনমানবশূন্য। রাস্তাঘাট ফাঁকা। রেস্টুরেন্ট খোলা থাকলেও লোক নেই। একই অবস্থা সেলুনেও। ফলে ব্যবসায়ীরা রীতিমতো চিন্তায়।