নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: নিজের কুর্সি বাঁচাতে আরও তিনদিন সময় পেলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আজ বৃহস্পতিবারই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে পাক সংসদে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। যদিও সংসদ শুরু হওয়ার খানিকক্ষণের মধ্যেই মুলতুবি হয়ে যায়। আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সংসদ মুলতুবি করা হয়েছে। ফলে রবিবারই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই সরাসরি অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির দাবিতে সরব হন বিরোধীরা। উপাধ্যক্ষ কাশিম সুরি জানিয়ে দেন, ‘আগে আলোচ্যসূচিতে যা রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হবে।’ বিরোধীরা তা মানতে রাজি হননি। হট্টগোল শুরু করেন তাঁরা। সেই হট্টগোলের মধ্যেই ৩ এপ্রিল সকাল ১১টা পর্যন্ত সংসদ মুলতুবি রাখার কথা ঘোষণা করেন উপাধ্যক্ষ।
অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি যাতে না হতে হয় তার জন্য এদিন পাকিস্বিতান মুসলিম লিগ (এন) নেতা শাহবাজ শরিফের কাছে এক সমঝোতা প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ওই সমঝোতা প্রস্তাবে ইমরান জানিয়েছিলেন, ‘বিরোধীরা যদি অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেন, সেক্ষেত্রে সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে। অর্থাৎ নতুন করে নির্বাচনের রাস্তা প্রশস্ত করা হবে।’ যদিও সেই প্রস্তাবে রাজি হননি বিরোধীরা।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইমরান খানকে না সরানো পর্যন্ত যে তাঁরা রণে ভঙ্গে দেবেন না, তা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন শাহবাজ শরিফ, বিলওয়াল ভুট্টোরা। এদিনই সংসদের অধ্যক্ষ আসাদ কায়সার রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা সমিতির বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকে যোগ দিতে বিরোধীদের আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন। যদিও তাতে রাজি হননি বিরোধীরা। উল্টে সময় নষ্ট না করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইমরান খানকে সরে দাঁরানোর আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা।