আন্তর্জাতিক ডেস্ক: খুনে অভিযুক্ত এবং দোষী সাব্যস্তকে প্রকাশ্যেই ফাঁসি দিল আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। আফগানিস্তান দখলের পর এই প্রথম তারা প্রকাশ্যে কোনও দোষীকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করল। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম ফারহা প্রদেশে। কাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে তালিবান সরকারের তরফ থেকে কিছু বলা হয়নি।
এই সর্বোচ্চ শাস্তির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি খুনের ঘটনা। খুনের ঘটনাটি ঘটে ২০১৭-তে। পরে সেই খুনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেন তালিবানের সর্বোচ্চ শাসক হিবাতুল্লাহ আখুন্দাজা। সেই কমিটি খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ধৃতকে দোষী সাব্যস্ত করে। নিদান দেয় সর্বোচ্চ শাস্তির। বুধবার সেই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবর দিয়েছেন তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।যদিও তিনি সবিস্তারে জানাননি কাকে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড।কেই বা ২০১৭-তে খুন হন। জানা গিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন আফগানিস্তান সরকারের অভ্যন্তরীণমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হক্কানি, তালিবান সরকারের কার্যনির্বাহী উপপ্রধানমন্ত্রী আবদুল ঘানি বারাদার, বিদেশমন্ত্রী-সহ তালিবান মন্ত্রীসভার শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীরা। ছিলেন আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এবং বিচারবিভাগের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন আধিকারিক। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এই সর্বোচ্চ শাস্তির নিন্দা করেছে।
কিছুদিন আগে প্রকাশিত একটি খবরে জানা যায়, স্টেডিয়ামে ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে ম্যাচ দেখার অপরাধে তাদের চাবুক দিয়ে পেটানো হয়।কাউকে ২০ বার, কাউকে ৪০ বার। সেই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন তুলেছিল।
আরও পডু়ন স্টেডিয়ামে একসঙ্গে বসে ছেলে-মেয়ে, ৪০ বার চাবুক তালিবানদের