নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিপদ বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছেন দলেরই ১৭ সাংসদ, উপরন্তু দুঃসময়ে ইস্তফা দিয়েছেন চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। আর তাতেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। যদিও করোনাকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় পদত্যাগী চার সহযোগীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জনসন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি থেকে জনসনের বিদায় সময়ের অপেক্ষামাত্র বুঝতে পেরেই তাঁকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন ঘনিষ্ঠরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ জানিয়েছে, ‘ব্যহসপ্তিবার প্রথমে ইস্তফা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক জ্যাক ডয়েল, পলিসি প্রধান মুনিরা মির্জা। তাঁদের ইস্তফার পরে সরে দাঁরানোর কথা ঘোষণা করেন চিফ অফ স্টাফ ড্যান রসেনফিল্ড ও প্রধানমন্ত্রীর প্রধান ব্যক্তিগত সহকারী মার্টিন রেনল্ডসও। দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরের মধ্যেই ইস্তফা দিলেন চিফ অফ স্টাফ রসেনফিল্ড। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে করোনার কালবেলায় পার্টি আয়োজনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।’
২০২০ সালে করোনার ছোবলে যখন লণ্ডভণ্ড ব্রিটেন, সাধারণ মানুষ লকডাউনে গৃহবন্দি ছিলেন, তখনই কোভিড বিধি ভেঙে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে একের পর এক পার্টি আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রী জনসনের বিরুদ্ধে। আর ওই খবর প্রকাশের পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে লন্ডন পুলিশ। বিরোধী লেবার পার্টি ইতিমধ্যেই সংসদে জনসনের ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছে। শুধু বিরোধী দলের সমালোচনার মুখেই নয়, নিজের দলের অন্দরেও বিদ্রোহের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির ১৭ সাংসদ চিঠি দিয়েছেন। নিয়মানুযায়ী, মোট ৫৪ সাংসদ চিঠি দিলেই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে।