নিজস্ব প্রতিনিধি: গোপন তার বার্তা মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জামিন মঞ্জুর করল পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর সঙ্গেই প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। শুক্রবার বিচারপতি সর্দার তারিক মাসুদ, বিচারপতি আতহার আমানউল্লাহ ও বিচারপতি সৈয়দ মনসুর আলি শাহের বেঞ্চ ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দুজনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। যদিও জামিন মিললেও এখনই জেল মুক্তি ঘটছে না ইমরানের। কেননা, আরও একাধিক মামলায় জামিন মঞ্জুর হয়নি তাঁর।
গতকাল বৃহস্পতিবারই তোশাখানা মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) প্রাক্তন চেয়ারম্যান। নিম্ন আদালতের সাজার উপরে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছিল। ফলে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়ার সুযোগ হারিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ফলে সাইফার কেস মামলায় তিনি জামিন পান কিনা, তার দিকে অধীর আগ্রহে তালিয়েছিলেন পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা।
গত ১৩ ডিসেম্বর কূটনৈতিক গোপন তার বার্তা ফাঁস মামলায় ইমরান খান ও প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ওই চার্জ গঠন করেন বিশেষ আদালতের বিচারক আবুয়াল হাসনাত জুলকারনাইন। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে ফাঁসিতে ঝোলানো হতে পারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। পাক সেনাবাহিনীর বর্তমান প্রধান আসীম মুনির নিজে ইমরানকে ফাঁসিতে ঝোঁলাতে বিশেষ আগ্রহী।