নিজস্ব প্রতিনিধি: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখন শ্রীঘরে। কারাগারে ঘি দিয়ে রান্না করা দেশি মুরগি এবং মাটন পরিবেশন করা হচ্ছে তাঁকে। একেবারে ‘জামাই আদর’ বলে উল্লেখ করেছে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা।
পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ চেয়ারম্যানকে তাঁর প্রোফাইল এবং আইনি অবস্থা বিবেচনা করে জেলবন্দি হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জীবনযাত্রার বিষয়ে ওয়াকিবহাল। সেই কারণেই কারা প্রশাসনের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় জমা দেওয়া হয় একটি প্রতিবেদন। সেই রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কারাগারের সবচেয়ে নিরাপদ এবং সুরক্ষিত বন্দিশালা হল ব্লক নং ০২। যেটি খালি করা হয়েছিল।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাথরুমটি ৭x৪ ফুট পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়েছিল। এর প্রাচীরটি পাঁচ ফুট পর্যন্ত চওড়া করা হয়েছে। এমনকি ২- ১২*৫ ফুটের একটি ফাইবার দরজাও ইনস্টল করা হয়েছে।
এছাড়াও, একটি নতুন টয়লেট সিট, শাওয়ার, টিস্যু স্ট্যান্ড এবং স্টেইনলেস স্টিলের ট্যাপ লাগানো হয়েছে। মুখ ধোয়ার জন্য একটি বড় আকারের গ্লাস সহ একটি ওয়াশ বেসিনও লাগানো হয়েছে। যাতে ইমরান খানের কোনও অসুবিধাই না হয়।
সূত্রের খবর, তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী সপ্তাহে দুবার দেশি মুরগিও দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ঘি দিয়ে রান্না করা মাটনও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হচ্ছে। কারাগারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপদ হেফাজত নিশ্চিত করতে পাঞ্জাবের অন্তত ৫৩ জন কারাগারের কর্মীকে অস্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে একটি খাটের তোষক, চারটি বালিশ, একটি টেবিল, একটি চেয়ার, একটি প্রার্থনার মাদুর এবং একটি এয়ার কুলার দেওয়া হয়েছে। সংবাদপত্রের পাশাপাশি বন্দীকে ইংরেজি পবিত্র কোরআনের চারটি কপি এবং ইসলামিক ইতিহাসের ২৫টি বই দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জেলা ও দায়রা আদালত ৫ আগস্ট তোষাখানা মামলায় ইমরান খানকে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির জন্য তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় এবং তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনী লড়াই থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরপরই লাহোরের জামান পার্কের বাসা থেকে পিটিআই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত ইমরান খানকে পাকিস্তানি রুপি (PKR) ১০০,০০০ জরিমানাও করা হয়েছে।