আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই জোর করে খাতা কেড়ে নিয়েছিলেন পরীক্ষক। আর ওই কাণ্ডের জেরেই দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা ঠুকে দিল দেশটির ৩৯ পরীক্ষার্থী। প্রত্যেকে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ কোটি ওয়ান (১৫ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেছেন। আগামী বছর এই ভর্তি পরীক্ষা দিতে এক বছরের পড়াশোনার খরচ হিসেবে ওই ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তাঁরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি’ জানিয়েছে, কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় (সুনেউং) বসেছিলেন পড়ুয়ারা। পরীক্ষার প্রথম বিষয় ছিল কোরিয়ান। পরীক্ষা চলাকালীন রাজধানী সিউলের কোনও-কোনও পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্ধারিত সময়সীমা শেষের আগেই পরীক্ষা শেষের ঘন্টা বেজে গিয়েছিল। বেশ কয়েকজন পড়ুয়া তার প্রতিবাদ জানান। যদিও সেই প্রতিবাদে কর্ণপাত করেননি পরীক্ষক। জোর করেই খাতা কেড়ে নেন। পরের পরীক্ষা শুরুর আগেই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় শিক্ষার্থীদের ওই দেড় মিনিট সময় দেন।
কিন্তু শিক্ষার্থীরা ওই বাড়তি সময়তেও খুশি হননি। তাঁদের অভিযোগ, ওই দেড় মিনিটে তারা উত্তরপত্রে দাগ টানতে পেরেছেন শুধু। তাদের কোনও প্রশ্নের উত্তর পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। মামলাকারী পড়ুয়াদের আইনজীবী কিম উ-সুক জানান, ভুলের জন্য শিক্ষা কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চাননি। তাই মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরের বছর ভর্তি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য যে খরচ হবে তা সরকারকে দিতে হবে। উল্লেখ্য, সুনেউং পরীক্ষায় যাতে পড়ুয়াদের প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ঘাটতি না থাকে তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয় দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে।