আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গণতন্ত্র নিয়ে ভারতকে জ্ঞান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায়, গণতন্ত্রের অর্থ কী – ভারত সেটা জানে। এ ব্যাপারে অন্য কোনও দেশের মতামত নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। পরামর্শ দিতেও হবে না।
নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ এই মন্তব্য করেছেন। কাম্বোজ বলেন, ভারত প্রথম থেকেই গনতান্ত্রিক দেশ ছিল। গণতন্ত্রের তিন স্তম্ভ আইনবিভাগ, বিচারবিভাগ এবং শাসনবিভাগ, সর্বোপরি চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা – এই চারটিই ভারতে রয়েছে এবং অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে। তাই, এই ভারতকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা হলে অত্যুক্তি হবে না।
রুচিরা কাম্বোজ বলেন, ভারতে প্রতি পাঁচবছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন প্রক্রিয়া।ভারতে রয়েছে গণতান্ত্রিক পরিবেশ। মানুষ স্বাধীনভাবে তাঁর মত প্রকাশ করতে পারে। পাশাপাশি ভারত একটি প্রগতিশীল রাষ্ট্র। ভারতের সভ্যতা শতাব্দি প্রাচীন। আড়াই হাজারের বেশি প্রাচীন এই সভ্যতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে গণতন্ত্র। পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারত নিজেকে বদলেছে। সেই পরিবর্তনের সুফল পেয়েছে সমাজের তৃণমূল স্তরের মানুষ। তাই, ভারত বিশ্বের অন্য কোনও দেশের কাছে গণতন্ত্র নিয়ে পরামর্শ শোনা বা নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না।
যদিও কাম্বোজের এই মন্তব্যে সুশীল সমাজ একমত নয়। তাদের মতে, বর্তমান শাসনামলে গণতন্ত্র নেই। বাক স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা হলে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে ঘোষণা করা হচ্ছে।